শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ৮ এপ্রিল, ২০২১ ০০:০০ টা

দুই উইঘুর সাবেক কর্মকর্তাকে মৃত্যুদন্ড

চীনের জিনজিয়াংয়ে সাবেক দুই উইঘুর সরকারি কর্মকর্তাকে মৃত্যুদন্ড দিয়েছেন চীনের একটি আদালত। তাঁদের বিরুদ্ধে বিচ্ছিন্নতাবাদী কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগ আনা হয়। অঞ্চলটিতে সংখ্যালঘু মুসলিমদের ওপর নানা নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে চীনের বিরুদ্ধে।

এএফপির খবরে বলা হয়, দন্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের একজন শিরজাত বাউদুন জিনজিয়াং বিচার বিভাগের সাবেক প্রধান। দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের অভিযোগে দুই বছরের সাজা স্থগিত করে তাঁকে মৃত্যুদন্ড দেওয়া হয়। মঙ্গলবার জিনজিয়াংয়ের সরকারি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বিষয়টি জানানো হয়। এক সংবাদ সম্মেলনে জিনজিয়াংয়ের হায়ার পিপলস কোর্টের ভাইস প্রেসিডেন্ট ওয়াং লাংটাও বলেন, বাউদুন একটি সন্ত্রাসী সংগঠনের সঙ্গে দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র করেছিলেন, ঘুষ গ্রহণ করেছিলেন এবং বিচ্ছিন্নতাবাদী কর্মকান্ড চালিয়েছিলেন। চীন সরকারের দাবি জিনজিয়াংয়ের ইস্ট তুর্কিস্তান ইসলামিক মুভমেন্ট (ইটিআইএম) সংগঠনের সঙ্গে গোপন যোগাযোগ ছিল বাউদুনের। ২০০৩ সালে সংগঠনটিকে একটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে তালিকাভুক্ত করে জাতিসংঘ। তবে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর তালিকা থেকে গত নভেম্বরে ইটিআইএমকে বাদ দেয় যুক্তরাষ্ট্র। ওয়াশিংটন জানিয়েছে, ওই গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অভিযোগের নির্ভরযোগ্য কোনো প্রমাণ নেই। আদালতের বিবৃতিতে বলা হয়, বাউদুনের সঙ্গে মৃত্যুদন্ড দেওয়া হয়েছে জিনজিয়াংয়ের শিক্ষা বিভাগের সাবেক পরিচালক সাতার সাউতকে। তার বিরুদ্ধেও বিচ্ছিন্নতাবাদী কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত থাকা ও ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ রয়েছে। তারও দুই বছরের শাস্তি স্থগিত করে মৃত্যুদন্ড দেওয়া হয়েছে। মানবাধিকার সংগঠনগুলো দাবি করছে, জিনজিয়াংজুড়ে ১০ লাখ উইঘুর ও অন্যান্য সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর মানুষকে আটকশিবিরে আটক করে রাখা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র বলছে, অঞ্চলটিতে উইঘুর ও অন্যান্য সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর মানুষ গণহত্যার শিকার হওয়ার মুখে আছে।

তবে চীন এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, জিনজিয়াংয়ে গৃহীত নীতিগুলো অঞ্চলটিতে সহিংস উগ্রবাদী কর্মকান্ড রুখতে জরুরি। এই অবস্থার মধ্যে এই রায় এলো।

সর্বশেষ খবর