বুধবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২১ ০০:০০ টা

মিয়ানমারে সেনা ঘাঁটি দখল বিদ্রোহীদের

মিয়ানমারে সেনা ঘাঁটি দখল বিদ্রোহীদের

মিয়ানমারের সঙ্গে থাইল্যান্ডের সীমানার কাছে একটি সেনা ঘাঁটি দখল করল ক্যারেন ন্যাশনাল ইউনিয়ন (কেএনইউ) বিদ্রোহীরা। সংঘর্ষে অনেক হতাহতের ঘটনা ঘটলেও তাৎক্ষণিক সংখ্যা জানা যায়নি। কেএনইউ-এর পররাষ্ট্র বিষয়ক প্রধান তাও নি জানিয়েছেন, ‘আমাদের বাহিনী সেনা ঘাঁটি দখল করে নিয়েছে।’ মিয়ানমার ও থাইল্যান্ডের সীমানা দিয়ে বয়ে চলা সালউইন নদীর কাছে এই ঘাঁটি ছিল। সেটাই আক্রমণ করে বিদ্রোহীরা। গ্রামবাসীরাও প্রচুর গোলাগুলির শব্দ পেয়েছেন। তাও নি জানিয়েছেন, কতজন মারা গেছেন, কতজন আহত সেই তথ্য তারা এখন সংগ্রহ করছেন।

রয়টার্স জানিয়েছে, মিয়ানমারে গত ১ ফেব্রুয়ারি সামরিক অভ্যুত্থানের পর সেনাবাহিনীর সঙ্গে কারেন বিদ্রোহীদের যতগুলো লড়াই-সংঘাত হয়েছে, তার   মধ্যে আজ সবচেয়ে তীব্র ছিল। কারেন বিদ্রোহীদের  সঙ্গে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর তীব্র সংঘাতের ঘটনা এমন একসময় ঘটল, যখন দেশটিতে অস্থিরতার অবসানে আহ্‌বান জানিয়ে পাঁচ দফা প্রস্তাব    দিয়েছে আঞ্চলিক জোট আসিয়ান। আসিয়ানের প্রস্তাব ইতিবাচকভাবে বিবেচনার কথা জানিয়েছে মিয়ানমারের সামরিক জান্তা। এদিকে ঘটনার পর সেনা ক্যাম্পের আশপাশের গ্রামবাসীর ভাষ্য, আজ (গতকাল) সূর্যোদয়ের আগেই    নদীর মিয়ানমার অংশে তুমুল গোলাগুলি শুরু হয়। সংঘাতের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করা হয়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়,  বনভূমিঘেরা পাহাড়ের পাশ দিয়ে ধোঁয়ার কুন্ডলী উড়ছে।

কারা এই বিদ্রোহী : ক্যারেন ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি হলো কেএনইউ-র সামরিক বাহিনী। ১৯৪৯ সাল থেকে তারা মিয়ানমার সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। তারা ক্যারেন জাতিগত সংখ্যালঘুদের জন্য স্বাধীন রাষ্ট্র চায়। সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে মিয়ানমারে সেনা শাসন চলছে। সু চিসহ বহু রাজনৈতিক নেতাকে আটক করা হয়েছে। সেনা শাসনের বিরুদ্ধে প্রায় প্রতিদিনই বিক্ষোভ হচ্ছে। সেনা ও পুলিশ তা কড়াহাতে দমন করছে। প্রায় সাড়ে ৮০০ বিক্ষোভকারী মারা গেছেন। প্রচুর বিক্ষোভকারীকে জেলে আটকে রাখা হয়েছে।

পশ্চিমা দেশগুলো মিয়ানমারে সেনা শাসনের বিরোধী। তারা অবিলম্বে গণতন্ত্র ফেরানোর জন্য সেনার ওপর চাপ সৃষ্টি করেছে। তবে তাতে এখনো পর্যন্ত কোনো লাভ হয়নি। এই অবস্থায় সেনা শাসনের বিরোধীদের কেএনইউ আশ্রয়ও দিচ্ছে।

সর্বশেষ খবর