আমেরিকার ম্যাসাচুসেটসের একটি দ্বীপে এই ঘটনা। বছর ছাপান্নের মৎস্যজীবী মাইকেল প্যাকার্ড তাঁর এক সহযোগীকে নিয়ে সমুদ্রে চিংড়ি ধরতে নেমেছিলেন। তিনি একজন লবস্টার (বড় চিংড়ি) শিকারি। ভালো একজন ডুবুরিও। ঘটনার দিনও তাই করছিলেন। কিন্তু সেদিন পাানির নিচে হঠাৎই সব অন্ধকার দেখেন মাইকেল। অনুভব করেন তীব্র ঝাঁকুনিও। মাইকেল সমুদ্রের যে-অঞ্চলে মাছ ধরছিলেন সেখানে হাঙরের আনাগোনা থাকেই। তাই প্রথমে ভেবেছিলেন, তিনি বোধ হয় হাঙরের খপ্পরেই পড়েছেন। কিন্তু পরক্ষণেই তিনি বুঝতে পারেন, এ আর যাই হোক হাঙর নয়। কেননা, তাঁর শরীরে কোনো যন্ত্রণা অনুভব করছিলেন না তিনি। এমনকি তাজ্জব যে, তখন তাঁর শ্বাস-প্রশ্বাসও চলছিল! মুহূর্তখানেক পরে তিনি বোঝেন, তিনি এক দৈত্যাকার তিমির কবলেই পড়েছিলেন। এ অবস্থায় ছিলেন ৩০ সেকেন্ড। কেননা, ততক্ষণে তিনি তার কবল থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন। তাঁকে ধরেছিল একটি হাম্পব্যাক তিমি। বিপুল হাঁ করে তাঁকে গিলে নিয়েছিল তিমিটি। কিন্তু আস্ত মানুষ গিলতে না পেরে কয়েক মুহূর্ত পরই মাইকেলকে উগরে দেয় সে। তিমিটি মাইকেলকে উগরে দেওয়ার পরেই তিনি কোনো রকমে সাঁতার কেটে সহযোগীর কাছে পৌঁছান। দ্রুত তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ম্যাসাচুসেটসের ‘সেন্টার ফর কোস্টাল স্টাডিজে’র এক তিমি বিশেষজ্ঞ বলেন, এটা মোটেই কোনো অবিশ্বাস্য ব্যাপার নয়। তবে ভাগ্য ভালো বলে বেঁচে ফিরেছেন। জুক আরও জানান, খিদে মেটাতে হাঁ করে মাছের ঝাঁকের দিকে ছুটে যায় তিমি। তখনই একসঙ্গে অনেক মাছ ও পানি তার মুখে ঢোকে। এর সঙ্গেই মাইকেলও ঢুকে গিয়েছিল হয়তো। হাঁ বড় হলেও হয়তো তিমির গলা সরু ছিল। তাই গিলতে না পেরে মাইকেলকে উগরে দেয় এটি।