মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ক্ষমতা নেওয়ার পর গা-ঢাকা দেওয়া রাজনৈতিক নেতাদের অবস্থান জানতে বন্দী নেতা-কর্মীদের মারপিট করছেন সেনারা। সম্প্রতি দেশটির ইয়াঙ্গুনে কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়া এক মার্কিন সাংবাদিক সিএনএনকে এই তথ্য জানান। তিনি বলেন, দেশটির নিরাপত্তারক্ষীরা গভীর রাতে দেশটির বিভিন্ন স্থান থেকে এনএলডির নেতা-কর্মীদের ধরে নিয়ে জেলে রাখছে। গোপন কারাগার দৃশ্য আরও ভয়াবহ! ‘ঠোঁটে, গালে, কপালে, চোখের পাতায় ঠেসে ধরছে জ্বলন্ত সিগারেট। উত্তর পছন্দ হোক আর না হোক, মুখে বুকে কাঁধে লাথির পর লাথি চলছেই।
বন্দীদের চোখ বাঁধা থাকলেও, ঘুমানোর কোনো উপায় নেই। ঘুমালে ওরা মারবে কখন। এভাবেই চলতে থাকে দিনের পর দিন। এর মাঝে ধর্ষণের হুমকি তো রয়েছেই।’ সেনাদের ওই গোপন কারাগারে নিজেও অত্যাচারের শিকার হয়েছিলেন নাথান। বীভৎস সেই স্মৃতিমন্থনে তিনি বললেন, ‘ওটা তো কারাগার নয়, যেন সাক্ষাৎ নরক। আমি ভেবেছিলাম সৈন্যদের নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে মরেই যাব।’ সেনাদের নির্মমতা সহ্য করতে না পেরে একবার আত্মহত্যার প্রস্তুতিও নিয়ে ফেলেছিলেন বলে জানান নাথান। তিনি জানান, সেনা-পুলিশ আর বন্দীদের উপস্থিতিতে এমনিতেই কারাগারগুলো থাকে জনাকীর্ণ। তার ওপর পরিবেশ ভীষণ অস্বাস্থ্যকর। সিএনএন