তালেবানের কাছে কয়েকটি বড় পরাজয়ের পর কৌশল পাল্টাচ্ছে আফগান বাহিনী। আফগান ও মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কাবুলের মতো কিছু গুরুত্বপূর্ণ শহর, সীমান্ত চেকপোস্ট এবং অবকাঠামোকে কেন্দ্র করে সেনা মোতায়েন করার কথা ভাবছে সরকার। ডয়েচে ভেলে।
এমন কৌশলের ফলে অন্য অনেক অঞ্চল তালেবানের হাতে চলে যাওয়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু কর্মকর্তারা মনে করছেন, বিভিন্ন প্রদেশের রাজধানীকে রক্ষার মাধ্যমে দেশটিতে বিভাজন এড়াতে এর বিকল্প নেই।
এর আগে কৌশল পাল্টানো বিষয়ে ধারণা পাওয়া গেলেও এত বিস্তারিত জানা যায় না। ৩১ আগস্টের আগে দেশটি থেকে সব সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এর আগেই এই নতুন কৌশল কার্যকর করতে চায় আফগান সরকার। তালেবান এরই মধ্যে আফগানিস্তানের অনেক অঞ্চলের দখল নিয়েছে। পেন্টাগন বুধবার জানিয়েছে, দেশটির অর্ধেকের বেশি জেলা এখন তালেবানের নিয়ন্ত্রণে। অর্ধেকেরও বেশি প্রাদেশিক রাজধানীকে কাবুল থেকে বিচ্ছিন্ন করতে ব্যাপক চাপ প্রয়োগও করছে তালেবান। গোয়েন্দাদের ধারণা ছয় মাসের মধ্যে আফগান সরকারের পতনও ঘটতে পারে।নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক আফগান কর্মকর্তা জানিয়েছেন, দেশজুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা সেনা সদস্যদের অল্প কিছু জায়গায় জড়ো করলে কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ এলাকা এবং অবকাঠামো (যেমন ভারতের সহায়তায় নির্মিত একটি বাঁধ) এবং মহাসড়কের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখা সম্ভব হবে। কিন্তু বিশেষ বিশেষ জায়গায় সেনা জড়ো করার মানে হচ্ছে অন্য এলাকাগুলোকে অরক্ষিত রেখে দেওয়া এবং সেসব এলাকার বাসিন্দা বা আদিবাসী জনগোষ্ঠীকে তালেবানের হাতে ছেড়ে দেওয়া।
মার্কিন জেনারেল মার্ক মাইলি বলেছেন, তালেবান ‘কৌশলগতভাবে এগিয়ে রয়েছে’। নতুন কৌশলে জেলার কেন্দ্র সমর্পণ করে কাবুলের মতো বেশি জনসংখ্যার কেন্দ্রগুলোতে বেশি নজর দেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে। বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, ‘তালেবানের পুরোপুরি ক্ষমতা দখল বা অন্য যে কোনো কিছুই ঘটতে পারে। শেষ পর্যন্ত কী হবে, তা এখনো নিশ্চিত নয়।’