দক্ষিণ ইউরোপ জুড়ে দাবানল জ্বলছে। তুরস্ক, গ্রিস, ইতালি, নর্থ ম্যাসিডোনিয়া, অ্যালবেনিয়া দাবানলের কবলে। একই অবস্থা আমেরিকায়। দেশটির ক্যালিফোর্নিয়ায় বিখ্যাত গ্রিনভিল শহর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের কোপার্নিকাস ক্লাইমেট চেঞ্জ সার্ভিস জানিয়েছে, জুলাই মাস ছিল ইউরোপের ইতিহাসে দ্বিতীয় সবচেয়ে গরম মাস। তাপপ্রবাহ চলতি মাসেও চলবে। সেই সঙ্গে দাবানলের কবলে পড়বে নতুন দেশ।
গ্রিসের পরিস্থিতি : এক সপ্তাহ ধরে গ্রিসে প্রচন্ড তাপপ্রবাহ চলছে। ১৯৮৭ সালের পর থেকে সেখানে এত গরম কখনো পড়েনি। তাপমাত্রা ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বুধবার থেকে গ্রিসে একশটির বেশি দাবানল জ্বলছে। এথেন্সের শহরতলিতে দাবানল পৌঁছে গেছে। অলিম্পিয়ার মনুমেন্টের কাছে আগুন চলে গেছিল। তবে আঞ্চলিক গভর্নর জানিয়েছেন, অলিম্পিয়াকে দাবানলের হাত থেকে আপাতত বাঁচানো গেছে।তুরস্কের অবস্থা : দাবানলের কবলে পড়েছিল তুরস্কের একটি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র। ১১ ঘণ্টা চেষ্টার পর সেই আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে।
ইটালিতে দাবানল : শুরু হয়েছিল সিসিলিতে। তারপর তা ছড়িয়েছে আরো তিনটি অঞ্চলে। বিমান ব্যবহার করা হচ্ছে। তা সত্ত্বেও আগুন আয়ত্ত্বে আনা যাচ্ছে না।
পুড়ছে ক্যালিফোর্নিয়া : দাবানলে পুড়ছে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্য। তিন সপ্তাহ ধরে জ্বলতে থাকা আগুনে পুড়েছে ৩ লাখ ২২ হাজার বর্গ একর জমি। আগুনে পুড়ে প্রায় ধ্বংস হয়ে গেছে অঙ্গরাজ্যটির গ্রিনভিল শহর। নিরাপদে সরে যেতে বলা হয়েছে শহরটির ৮০০ বাসিন্দাকে। স্থানীয় সময় গত বুধবার রাতে শহরটিতে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। গতকাল বিবিসির খবরে বলা হয়, দাবানলের ঘটনায় গ্রিনভিল শহরে এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বাড়তি তাপমাত্রাই দাবানলের ভয়াবহতার জন্য মূলত দায়ী বলে উল্লেখ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। শিল্পবিপ্লবের পর জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে পৃথিবীর তাপমাত্রা ১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়েছে।