আফগানিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী আমরুল্লাহ সালেহ বলেছেন, তিনি তালেবান শাসনকে স্বীকৃতি দেন না এবং তিনি ও তার সমর্থকরা আত্মসমর্পণের কোনো পরিকল্পনাও করেন না। জার্মান সংবাদপত্র ডের স্পিগেলকে তিনি এ বিষয়টি নিয়ে লিখেছেন। সালেহ চলতি মাসে কাবুল থেকে পালিয়ে এসে আফগানিস্তানের পঞ্জশির উপত্যকায় তালেবানবিরোধী প্রতিরোধে নেতৃত্ব দিতে সাহায্য করছেন। এ মাসের শুরুতে প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি সংযুক্ত আরব আমিরাতে পালিয়ে যাওয়ার পর সালেহ নিজেকে দেশের নতুন নেতা ঘোষণা করেন। তিনি লিখেছেন, ‘ভৌগোলিকভাবে আমরা বিচ্ছিন্ন, কিন্তু রাজনৈতিক ও নৈতিকভাবে আফগানিস্তান আমাদের সঙ্গে আছে।’ তিনি বলেন, তালেবান কখনই রাজনৈতিক সমঝোতায় বিশ্বাস করেনি। তারা ট্রাম্প ও বাইডেনের অধীনে হোয়াইট হাউসের অসুবিধা, ক্লান্তি এবং স্বল্পদৃষ্টি কাজে লাগিয়েছে।’
তার দাবি, তিনি মার্কিন প্রতিনিধিদের পরামর্শ দিয়েছিলেন তালেবানদের দখলের একটি সমাধান এখনো আছে আর তা হলো ‘নির্দিষ্ট নিষেধাজ্ঞা দিয়ে পাকিস্তানকে হুমকি দিন, রাজনৈতিকভাবে বিষয়টির সমাধান করুন এবং পঞ্জশিরে জাতীয় প্রতিরোধকে স্বীকৃতি ও রাজনৈতিক সমর্থন দিন।’
মার্কিন প্রত্যাহার কেন মিত্রদের নার্ভাস করে তোলে : বিশ্বজুড়ে যেসব দেশ ঐতিহ্যগতভাবে আমেরিকান সহায়তার ওপর নির্ভর করে তারা হঠাৎ ভাবতে শুরু করে তাদের নিজেদের পুনরায় সে সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়া উচিত কি না। তাইওয়ান, যা প্রায় প্রতিদিন চীন থেকে আগ্রাসনের হুমকির সম্মুখীন, বিশেষ করে উদ্বিগ্ন। দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান, পশ্চিম ইউরোপ এবং ব্রিটেন সবাই ভাবছে আফগানিস্তানে যে ঘটনা ঘটেছে তা ভবিষ্যতে আবার হবে কি না। মাস চারেক আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আত্মবিশ্বাসী হয়ে বলেছিলেন, ‘আমরা আফগানিস্তান থেকে প্রস্থান করার জন্য তাড়াহুড়া করব না। আমরা দায়িত্বশীলভাবে এবং নিরাপদে চলে যাব। আর এটা হবে আমাদের মিত্রদের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে।’ যা ঘটেছে তা নয়। এবং একটি দেশ যা একটি সম্পূর্ণ প্রজন্মের জন্য আমেরিকান এবং পশ্চিমা সহায়তার ওপর নির্ভর করে হঠাৎ নিজেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় পেয়েছে।১ হাজার ২০০ জনকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে : হোয়াইট হাউস : রবিবার যুক্তরাষ্ট্র কাবুল বিমানবন্দর থেকে আরও ১ হাজার ২০০ জনকে সরিয়ে নিয়েছে। গতকাল হোয়াইট হাউস ঘোষণা করেছে, নির্দিষ্ট দিনেই আফগানিস্তান ত্যাগ করবে। তালেবানরা রাজধানী কাবুল দখলের আগের দিন ১৪ আগস্ট থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার মানুষকে আফগানিস্তান থেকে সরিয়ে নিয়েছে। তবে যুক্তরাজ্যসহ অন্য বেশির ভাগ দেশ ইতিমধ্যে তাদের সব সেনা প্রত্যাহার করেছে । বিবিসি