অবশেষে মরক্কোর সেই শিশু রায়ানকে উদ্ধার করা হয়েছে। তবে জীবিত নয়, মৃত। গভীর কুয়ায় আটকে থাকার পর বাংলাদেশ সময় শনিবার রাতে তার লাশ উদ্ধার করে আনেন উদ্ধারকর্মীরা। স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমে বলা হচ্ছে শিশু রায়ানের বাবা যখন কুয়াটি মেরামতের কাজ করছিলেন, তখন হঠাৎ করে ৩০ মিটার (১০৪ ফুট) গভীরে পড়ে যায় সে।
আল জাজিরা জানায়, গত কয়েকদিন ধরে পাঁচ বছর বয়সী রায়ানকে কুয়াটির ভিতর থেকে তুলে আনার জন্য মরিয়া হয়ে চেষ্টা চালিয়ে গেছেন উদ্ধারকর্মীরা। বলা হয়েছিল এই উদ্ধার অভিযান অত্যন্ত জটিল। উদ্ধারকর্মীরা তাদের অভিযানের চূড়ান্ত পর্যায়েও পৌঁছে গিয়েছিলেন। কিন্তু একই সঙ্গে ভূমিধসের আশঙ্কায় শিশুটিকে উদ্ধারের এই তৎপরতা আরও বেশি বিপজ্জনক হয়ে উঠেছিল। মরক্কোর উত্তরাঞ্চলীয় ওই গ্রামে শিশুটিকে উদ্ধারের এই তৎপরতা মরক্কোর প্রতিবেশী আলজেরিয়ার মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিল। উদ্ধার কাজ দেখতে ঘটনাস্থলে জড়ো হয়েছিল হাজার হাজার মানুষ। পরিকল্পনা মোতাবেক শনিবার শিশুটিকে বের করে আনতে জোরেশোরে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করেন জরুরি বিভাগের কর্মীরা। বুলডোজার, ক্রেনসহ প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি নিয়ে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যেতে থাকেন। অবশেষে তাকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।