বৃহস্পতিবার, ১০ মার্চ, ২০২২ ০০:০০ টা

আরও স্বনির্ভর হতে চায় ইইউ

ইউক্রেনের ওপর রাশিয়ার হামলা পুরো বিশ্বকে নতুন করে প্রতিরক্ষা নিয়ে ভাবতে শিখাচ্ছে। এ অবস্থায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন বহির্বিশ্বের ওপর ইউরোপের নির্ভরতা কমাতে চায়। বিশেষ করে আমেরিকার ওপর নির্ভরতা। কারণ গত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সময় বেশ নাজুক অবস্থায় পড়েছিল ইইউ।

আর ইউক্রেন যুদ্ধ প্রতিরক্ষা থেকে শুরু করে জ্বালানি, কাঁচামালের জোগান সব বিষয়কে ভাবাচ্ছে। এমন সব ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে যতটা সম্ভব স্বনির্ভর হতে চায় ইইউ। সপ্তাহান্তে ফ্রান্সের ভার্সাই শহরে শীর্ষ সম্মেলনে ইউরোপীয় নেতারা সেই দিশায় যাত্রা শুরু করতে চান। ইইউ সরকার পরিষদের প্রধান শার্ল মিশেল বর্তমানে রাশিয়া থেকে গ্যাস, পেট্রোলিয়াম ও কয়লা আমদানির ওপর নির্ভরতা কমানোর ওপর জোর দিচ্ছেন। সেই সঙ্গে ন্যাটোর পাশাপাশি ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিজস্ব প্রতিরক্ষা ক্ষমতাও বাড়ানো প্রয়োজন বলে তিনি মনে করেন। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ধারা স্থিতিশীল রাখতে ইউরোপের নিজস্ব ভিত আরও মজবুত করার লক্ষ্যও স্থির করতে চান তিনি।

কম্পিউটার চিপের মতো অতি প্রয়োজনীয় পণ্য ইউরোপের ভূখন্ডে উৎপাদন করার সিদ্ধান্ত সেই প্রবণতারই অঙ্গ।

রাশিয়া থেকে জ্বালানি আমদানি কমানো এবং ধাপে ধাপে বন্ধ করে দেওয়া আপাতত ইউরোপের কাছে সবচেয়ে জরুরি বিষয়। ভøাদিমির পুতিনকে উচিত শিক্ষা দিতে অবিলম্বে এমন সিদ্ধান্তের জন্য চাপ বাড়লেও জার্মানির মতো ইউরোপের অনেক দেশের পক্ষে নিজস্ব স্বার্থে সেই সিদ্ধান্ত কার্যত অসম্ভব। কিন্তু ২০৩০ সালের আগেই রাশিয়ার জ্বালানির উপর নির্ভরতা পুরোপুরি দূর করার অঙ্গীকার করছে ইইউ? বর্তমান সংকটের মুখে পুনর্ব্যবহারযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার আরও তরান্বিত করতে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে চলেছেন ইইউ নেতারা। আপাতত অন্য উৎস থেকে জীবাশ্মভিত্তিক জ্বালানি আমদানির জন্যও উদ্যোগ নেবেন তাঁরা।

প্রতিরক্ষার ক্ষেত্রেও আরও স্বনির্ভর হতে চায় ইইউ। সামরিক জোট ন্যাটোর কোনো সদস্য আক্রান্ত হলে যেমন বাকি সদস্য দেশগুলোও সামরিক সহায়তা করতে বাধ্য থাকে, ইইউর ক্ষেত্রেও তেমন এক অনুচ্ছেদের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চায় ইইউ।

সর্বশেষ খবর