ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, পূর্বাঞ্চলীয় সেভেরোদোনেৎস্ক ও পাশের লিসিচানস্ক শহরে রুশ বাহিনীর সঙ্গে ইউক্রেনীয় বাহিনীর তীব্র লড়াই চলছে। এ দুটি কার্যত ‘মৃত শহরে’ পরিণত হয়েছে।
জেলেনস্কি তাঁর রাতের ভিডিওবার্তায় বলেন, সিভিয়েরোদোনেৎস্কের প্রতিটি রাস্তায় লড়াই চলছে। ইউক্রেনের সেনা সেখানে বিন্দুমাত্র জমি ছাড়েনি। জেলেনস্কির ঘোষণা, দনবাস ইউক্রেনের কাছেই আছে। তিনি বলেন, রাশিয়া যদি দনবাস অধিকার করে নিত তাহলে ইউক্রেনের পক্ষে পরিস্থিতি কঠিন হতো। তিনি বলেন, ‘আমরা এখন পর্যন্ত দনবাস নিজেদের অধিকারে রাখতে পেরেছি। আমাদের সেনা পুরোদমে লড়াই করছে।’ তবে তিনি জানিয়েছেন, ‘সিভিয়েরোদোনেৎস্ক ও তার পাশের শহরে আর কোনো কিছুই ঠিকঠাক নেই। রাশিয়া সেখানে লাগাতার বোমা ও গোলা মেরে সবকিছু গুঁড়িয়ে দিয়েছে।’ এর আগে লুহানস্কর গভর্নর জানিয়েছিলেন, সিভিয়েরোদোনেৎস্কে যে লড়াই চলছে, তাতে শক্তির পরীক্ষা হচ্ছে। রাশিয়া সমানে সিভিয়েরোদোনেৎস্কে গোলা মারছে। তারা সবকিছু গুঁড়িয়ে দেওয়ার নীতি নিয়ে চলছে। মাঝখানে রাশিয়ার সেনা শহরের বেশ কিছুটা ভিতরে ঢুকে যেতে পেরেছিল। সম্প্রতি ইউক্রেন বাহিনী আবার তাদের কিছুটা পিছিয়ে দিতে পেরেছে বলে দাবি করা হচ্ছে। এদিকে পাশের লিসিচানস্ক শহরেও গোলা হামলা জোরদার হয়েছে। ওলেকসান্দর লিয়াখোভেৎস নামের স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, তাঁর ফ্ল্যাটেও রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়েছে। এএফপিকে তিনি বলেন, ‘তারা এখানে ক্রমাগত গুলি করেছে। খুব ভয়াবহ দৃশ্য ছিল এটি।’ রবিবার লিসিচানস্ক শহরটি পরিদর্শন করেছেন জেলেনস্কি। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, শহর দুটির নিয়ন্ত্রণ নেওয়াটা রাশিয়ার কৌশলগত লক্ষ্য। কারণ এ দুটি শহর দখলের মধ্য দিয়ে গোটা লুহানস্ক অঞ্চলের দখল নিতে পারবেন রুশ সেনারা।
গতকাল জেলেনস্কি বলেন, সেভেরোদোনেৎস্ক শহরে রুশ সেনারা সংখ্যায় বেশি হলেও ইউক্রেনীয় সেনারা নিজেদের অবস্থান বজায় রেখেছেন। পাল্টা লড়াই চালানোর সব সুযোগ কাজে লাগাচ্ছেন তাঁরা।ইইউর সদস্য : জেলেনস্কি বলেছেন, ইউক্রেনের ইইউ সদস্য হওয়া খুবই জরুরি। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে তাঁদের সদস্য হওয়ার আবেদনের বিষয়টি বিবেচনা করবে ইইউ। তিনি ইতোমধ্যে পোল্যান্ডের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছেন বলে জানিয়েছেন।