টাইগ্রিস নদীর পাশের একটি জলাধার শুকিয়ে যাওয়ার পর জেগে উঠেছে প্রায় ৩ হাজার ৪০০ বছরের পুরনো প্রাচীন শহর। দেশটির কুর্দিস্তানের কেমুন অঞ্চলে স্থানটি প্রাচীন জাখিকু শহর। ইরাকের প্রত্নতাত্ত্বিকরা জানান, কয়েক বছরের টানা খরায় ইরাকের সবচেয়ে বড় জলাধার মসুল ড্যামের পানিও উল্লেখযোগ্য পরিমাণে শুকিয়ে গেছে। ফলে অনেকটাই উন্মুক্ত হয়ে এসেছে জলাধারের তলদেশ। আর এই উন্মুক্ত জলাধারের তলদেশেই দেখা গেছে প্রাচীন পুরনো ওই শহরের। গবেষকরা বলেছেন, এই প্রাচীন শহরটি সম্ভবত খ্রিস্টপূর্ব ১৫৫০ থেকে ১৩৫০ সময়কার মিত্তানি সাম্রাজ্যের শাসনামলে মূল কেন্দ্র ছিল। বসতিটির এই ধ্বংসাবশেষ ব্রোঞ্জ যুগের। সেই সাম্রাজ্যের বহুতল প্রাসাদ, দুর্গের সুউচ্চ দেয়াল, পর্যবেক্ষণ টাওয়ারের সন্ধান পাওয়া গেছে। প্রাসাদের ভিতর বহু মূল্যবান ও ঐতিহ্যের সাক্ষী এমন সব বস্তু পাওয়া যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কয়েক দশক ধরেই খরায় ভুগছে ইরাক। বৃষ্টির দেখা নেই। টাইগ্রিস ও ইউফ্রেটিস নদীর জলও শুকিয়ে গেছে বহু অংশেই। এর ফলে জীবনধারণের জন্য সংগ্রাম করতে হচ্ছে সেখানকার মানুষের। এই পরিস্থিতিতে শস্য যাতে শুকিয়ে না যায়, সেদিকে লক্ষ্য রেখেই মসুল বাঁধের জলাধার খনন শুরু করেছিল কর্তৃপক্ষ।