শিরোনাম
শুক্রবার, ৮ জুলাই, ২০২২ ০০:০০ টা

সার্নে আরও তিনটি কণার সন্ধান

সার্নে আরও তিনটি কণার সন্ধান

লার্জ হ্যাড্রন কলাইডার বা এলএইচসিতে একেবারে নতুন তিনটি কণার সন্ধান পেলেন ইউরোপিয়ান নিউক্লিয়ার রিসার্চ সেন্টারের (সার্ন) বিজ্ঞানীরা।

তিন বছরের বিরতির পর চালু হয়েছে এলএইচএস। সেখানে ২০১২ সালে হিগস বোসনের প্রমাণ মিলেছিল। এই কণাকে বলা হয় ঈশ্বরকণা। হিগস বোসন কণা সব পদার্থকে ভর জোগায়, সে কণা নিজে ভর পেল কোথা থেকে? এই কদিনেই সেখানে একেবারে নতুন তিনটি কণার সন্ধান পেলেন বিজ্ঞানীরা। ফলে মহাশূন্য সৃষ্টির রহস্য উন্মোচনে আরও একধাপ এগিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে বলেই আশা তাঁদের। সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় স্থাপিত এই অতিকায় যন্ত্রে এই  তিনটি কণার অস্তিত্ব একসঙ্গে মিলল। বিজ্ঞানীরা জানান, এই তিনটি কণা আসলে কোয়ার্ক। একাধিক কোয়ার্ক জোট বেঁধে পার্টিকল তৈরি করে। আর কয়েকটি পার্টিকল মিলে তৈরি করে প্রোটন, নিউট্রনের মতো হ্যাড্রন কণা যা থেকে পরমাণুর অস্তিত্ব তৈরি হয়। নতুন পাওয়া কোয়ার্কগুলোর গঠন অনুযায়ী সেগুলোর দুটি হলো টেট্রাকোয়ার্ক। যা এই প্রথম পাওয়া গেল। অন্যটি পেন্টাকোয়ার্ক। সেটিও একেবারে নতুন ধরনের।

সার্নের বিজ্ঞানী নিয়েলস টিউনিং এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ১৯৫০ সালে এ রকম একাধিক হ্যাড্রন কণা আবিষ্কার হতে শুরু করেছিল। তাই সেটিকে বলা হচ্ছিল পার্টিকল জু বা কণার চিড়িয়াখানা। এখন এই আবিষ্কারের পরে বলা যায়, আমরা দ্বিতীয় পার্টিকল জু তৈরি করে ফেলেছি। এই আবিষ্কার কণার গঠন, একে অপরের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার পদ্ধতি সম্পর্কে আরও গভীরে আলোকপাত করবে। এ ধরনের পরীক্ষা চালিয়ে গেলে আরও হ্যাড্রন কণা মিলবে বলে আমাদের আশা।

এলএইচসি হলো প্রায় ২৭ কিমি লম্বা একটি টানেল আকৃতির যন্ত্র। সেটিকে তৈরি করা হয়েছে বিশ্বব্রহ্মাণ্ড সৃষ্টির রহস্য উন্মোচনের লক্ষ্যেই। কৃত্রিমভাবে সেখানে কণাস্রোত তৈরি করা হয়, যা অনেকটা বিগ ব্যাংয়ের ক্ষুদ্ররূপ। এর ফলেই আবিষ্কার হচ্ছে নতুন নতুন কণা।

সর্বশেষ খবর