সোমবার, ১৮ জুলাই, ২০২২ ০০:০০ টা
ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে টনি ব্লেয়ার

শেষের পথে পশ্চিমা আধিপত্য

শেষের পথে পশ্চিমা আধিপত্য

রুশ হামলায় সব শেষ। দোনেস্কে ধ্বংস হওয়া বাড়িতে এক নারী -এএফপি

ইউক্রেন যুদ্ধ দেখিয়ে দিচ্ছে পশ্চিমা আধিপত্যের অবসান এবং চীনের উত্থান ঘটছে। এই মন্তব্য করেছেন যুক্তরাজ্যের সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার। ‘ইউক্রেনের পর, পশ্চিমা নেতৃত্বের জন্য এখন কী শিক্ষণীয়?’ শিরোনামে শনিবার ডিচলে ফাউন্ডেশনের বার্ষিক অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তৃতায় এ মন্তব্য করেন টনি ব্লেয়ার। সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, করোনাভাইরাসের মহামারি এবং ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে পাশ্চাত্যের জনগণের একটা বিরাট অংশের জীবনমানে পতন ঘটেছে।

রাশিয়ার সঙ্গে অংশীদারিত্বের জোরে সুপারপাওয়ার হিসেবে চীনের উত্থানে পশ্চিমাদের আধিপত্যের দিন শেষের পথে চলে আসছে- ইউক্রেন যুদ্ধই তা দেখিয়ে দিচ্ছে। কয়েক শতাব্দীর মধ্যে এ এক অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বাঁক পরিবর্তন বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার। তিনি বলেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ কিংবা সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের সময়ের তুলনায় বিশ্ব এখন এক মোড় পরিবর্তনের মুখে আছে। কিন্তু এবারে পশ্চিমারা আর স্পষ্টতই আধিপত্যের জায়গায় নেই। তার মন্তব্য, ‘এই বিশ্ব অন্তত দ্বিমেরু এবং সম্ভবত বহুমেরু হতে চলেছে। এই শতাব্দীর সবচেয়ে বড় ভূ-রাজনৈতিক পরিবর্তন রাশিয়া নয়, চীনের কাছ থেকেই আসবে।’  রাশিয়ার ওপর একের পর এক নিষেধাজ্ঞা দিয়ে দেশটিকে বিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা করে পশ্চিমারা অর্থনৈতিক যুদ্ধ ঘোষণা করেছে বলে সমালোচনা করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন। এই প্রেক্ষাপটে ক্রেমলিন বলেছে, রাশিয়া চীন এবং ভারতের সঙ্গে সখ্য বাড়াবে। চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিংও রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনকে সমর্থন দিয়েছেন এবং মস্কোর ওপর পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার সমালোচনা করেছেন। চীনের সঙ্গে ‘কৌশলগত অংশীদারিত্ব’ গড়ে তুলেছেন পুতিন। চীনের অর্থনীতির পরিসর আগে সেই ১৯৭৯ সালে ইতালির চেয়েও ছোট থাকলেও পরে বিদেশি বিনিয়োগ উন্মুক্ত করে এবং বাজার সংস্কার চালু করে চীন এখন বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হয়ে উঠেছে। কয়েক দশকের মধ্যেই চীনের অর্থনীতি যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিকে টপকে যেতে পারে বলে পূর্বাভাস আছে।

ইউক্রেন থেকে এক দিনে ৫ হাজার শিশু সরিয়েছে রাশিয়া : ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষকে না জানিয়েই দেশটি থেকে এক দিনেই প্রায় ৩০ হাজার মানুষকে সরিয়ে নিয়েছে রাশিয়া। এর মধ্যে রয়েছে ৫ হাজারের বেশি শিশু। গতকাল এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা। রাশিয়ার কর্নেল জেনারেল মিখাইল মিজিনসেভ শনিবার ব্রিফিংয়ে বলেন, ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষের অংশগ্রহণ ছাড়াই ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ৫ হাজার ১৪৮ শিশুসহ ২৮ হাজার ৪২৪ জনকে ইউক্রেন এবং দনবাস প্রজাতন্ত্রের বিপজ্জনক অঞ্চল থেকে রুশ ফেডারেশনে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। রাশিয়ার কোথায় নেওয়া হয়েছে তা স্পষ্ট করেনি মস্কো। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে সামরিক অভিযান শুরুর পর ইউক্রেন থেকে জোরপূর্বক নারী ও শিশুসহ বেসামরিক নাগরিকদের নিজ দেশে সরিয়ে নিচ্ছে রুশ কর্তৃপক্ষ। এমন অভিযোগ করে আসছে কিয়েভসহ পশ্চিমা দেশগুলো। অনেক শিশুকে অবৈধভাবে দত্তক দেওয়া। আগেও ইউক্রেনের সীমান্ত অঞ্চল দনবাস, খারকিভ, মারিউপোল থেকে অনেক মানুষকে জোর করে সরিয়ে নিয়েছে রাশিয়া।

সর্বশেষ খবর