কদিন বিরতি দিয়ে ফের তীব্র দাবদাহে হাঁপাচ্ছে ইউরোপের মানুষ। আর এই উত্তাপকে আরও অসহনীয় করে তুলেছে দাবানল। ফ্রান্সের বন্দরনগরী বোহদ্যুর কাছে একটি ‘দানবাকৃতির দাবানল’ দেখা দিয়েছে। তা নেভাতে কাজ করছেন এক হাজারের বেশি ফায়ারফাইটার। এই দাবানলের কারণে এরইমধ্যে প্রায় ১০ হাজার মানুষ বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন।
অন্যদিকে, যুক্তরাজ্যের আবহাওয়া অধিফতর বৃহস্পতিবার থেকে ‘তীব্র দাবদাহ’ বিষয়ে চার দিনের জন্য ‘আম্বার ওয়ার্নিং’ জরি করেছে। এই সময়ে তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে থাকবে। কোথায় কোথায় এটি ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে যেতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে বলে জানায় বিবিসি। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়, তীব্র উত্তাপের কারণে পানি সরবরাহ এবং গণপরিবহন ব্যবস্থায় বিঘ্ন ঘটতে পারে। অনুকূল পরিবেশ পেয়ে জ্বলে উঠতে পারে দাবানল।
ফ্রান্সের বোহদ্যু নগরীর কাছে যে দাবানল জ্বলছে সেটি দুইদিন আগে শুরু হয়েছে। দাবানলটি লন্ডিরাস পৌরসভার কাছে পৌঁছে গিয়েছে। বোহদ্যু নগরী থেকে ওই পৌরসভাটি ৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত। স্থানীয় একটি রেডিওতে ফায়ারফাইটারদের একজন প্রতিনিধি বলেন, ‘ওটা একটি রাক্ষস, ওটা একটি দানব।’ ঝড়ো বাতাস এবং উচ্চ তাপমাত্রা দাবানলের জন্য অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টির পাশাপাশি ফায়ারফাইটারদের আগুন নেভানোর কাজে বিঘ্ন ঘটাচ্ছে। অস্ট্রিয়া, জার্মানি, গ্রিস, পোল্যান্ড ও রোমানিয়া দাবানল নিয়ন্ত্রণে ফ্রান্সকে ‘সহায়তার জন্য আসছে’ বলে জানিয়েছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমান্যুয়েল ম্যাক্রোঁ।এক টুইটে তিনি লেখেন, ‘‘ইউরোপের সংহতি কাজে নেমে পড়েছে।”
মহাদেশজুড়ে রেকর্ড তাপমাত্রা এবং খরার কারণে ফ্রান্সসহ ইউরোপের অনেক দেশকে ভয়াবহ দাবানলের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হচ্ছে।