বেশ কয়েক বছর ধরে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তান। এসব সমস্যাকে আরও সংকটে ফেলেছে গত তিন মাস ধরে চলা বন্যা। এ বন্যায় জুন থেকে এ পর্যন্ত ১ হাজারেরও বেশি লোকের মৃত্যু হয়েছে; ধ্বংস হয়েছে ৪ লাখেরও বেশি মানুষের ঘরবাড়ি ও সম্পদ। এর মধ্যে দেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ সতর্ক করেছে, এভাবে ভারী বর্ষণ চলতে থাকলে দেশের এক-তৃতীয়াংশ ভূখণ্ড তলিয়ে যাবে পানির নিচে। স্মরণকালের ভয়াবহতম এই বন্যা মোকাবিলায় তাই জরুরিভিত্তিতে আন্তর্জাতিক সাহায্যের জন্য আবেদন জানিয়েছে পাকিস্তান সরকার। পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো-জারদারি রবিবার রাতে জানান, কয়েক সপ্তাহ ধরে চলতে থাকা মৌসুমি বৃষ্টিপাত এবং হিমবাহ গলা পানির কারণে এই বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। এতে ইতোমধ্যেই সংকটে থাকা অর্থনীতি আরও ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়েছে। সামনে আরও ভয়াবহ অবনতির শঙ্কা করা হচ্ছে।
উল্লেখ করে তিনি দুর্যোগ মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক সহায়তার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘আমার আশা, শুধু আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল নয়, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এবং সংস্থাগুলো সত্যিকার অর্থে ধ্বংসের মাত্রা উপলব্ধি করবে।’
এদিকে জাতীয় অর্থনীতিতে বন্যার ক্ষয়ক্ষতির প্রভাব কতটা পড়েছে এবং পড়তে চলেছে তার মূল্যায়ন চলছে এখনো বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো। তবে অনুমানের ভিত্তিতে বলা হচ্ছে, এ পর্যন্ত ক্ষতির পরিমাণ ৪ বিলিয়ন ডলারের বেশি। অবকাঠামো এবং মানুষের জীবনযাত্রার ওপর প্রভাবের পরিপ্রেক্ষিতে এই ক্ষতির পরিমাণ টাকার অঙ্কে আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।