মঙ্গলবার, ১৮ অক্টোবর, ২০২২ ০০:০০ টা

রাশিয়ার সঙ্গে উত্তেজনার মধ্যেই ন্যাটোর ‘পারমাণবিক’ মহড়া

রাশিয়ার সঙ্গে উত্তেজনার মধ্যেই ন্যাটোর ‘পারমাণবিক’ মহড়া

জেন্স স্টোলটেনবার্গ

দিন যত যাচ্ছে রাশিয়া-ইউরোপ যুদ্ধে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের ভয় তত বাড়ছে। দুই দিন আগে খবর ছিল ইউরোপ সীমান্তে পারমাণবিক বোমারু বিমান মোতায়েন করছে রাশিয়া। এর মধ্যেই গতকাল বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম দাবি করেছে, পশ্চিম ইউরোপে ন্যাটোর পারমাণবিক প্রতিরোধ মহড়া শুরু হয়েছে। রাশিয়ার সঙ্গে চলমান উত্তেজনার মধ্যেই গতকাল এই নিয়মিত মহড়া শুরু হয়।

এ মহড়া ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে বলে জানিয়েছে ন্যাটো। তবে রাশিয়ার ইউক্রেন অভিযানের সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি। এ মহড়ায় ইউএস বি-৫২ বোমারু বিমানসহ ৬০টির বেশি বিমান অংশ নিয়েছে।

ন্যাটো মহাসচিব জেন্স স্টোলটেনবার্গ জানিয়েছিলেন, ‘যদি ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা নিয়মিত মহড়া বাতিল করা হয় তবে তা ভুল বার্তা দেবে।’ তিনি আরও জানিয়েছিলেন, ন্যাটোর উচিত সব সদস্য রাষ্ট্র ও মিত্রদের সুরক্ষার নিশ্চয়তা দেওয়া। ন্যাটো আরও দাবি করেছে, রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা চালানোর আগেই এ মহড়ার পরিকল্পনা করা হয়। ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে আকস্মিক হামলা চালায় মস্কো। তবে ন্যাটোর এ দাবি সত্যি হলেও বর্তমান পরিস্থিতিতে এ মহড়া রাশিয়ার সঙ্গে নতুন করে উত্তেজনা তৈরি করতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের দূরপাল্লার বি-৫২ বোমারু বিমান ওই মহড়ায় অংশ নেবে এবং মোট ৬০টি বিমান বেলজিয়াম, যুক্তরাজ্য ও উত্তর সাগরের ওপর দিয়ে প্রশিক্ষণে অংশ নেবে।

জেন্স স্টোলটেনবার্গ বলেন, ‘আমাদের বুঝতে হবে ন্যাটোর দৃঢ়তা, অনুমাননির্ভর আচরণ, আমাদের সামরিক শক্তি সব ধরনের উত্তেজনা প্রতিরোধের সর্বোত্তম উপায়।’ তিনি আরও বলেন, ‘রাশিয়া তাদের নিজেদের অবস্থান থেকে সরে আসেনি। তবে আমাদের অবশ্যই এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।’

এর আগে ইউক্রেন যুদ্ধে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন। এজন্য ধারণা করা হচ্ছে, শিগগিরই পারমাণবিক অস্ত্রের মহড়া চালাতে পারে রাশিয়া। এর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের চ্যালেঞ্জ করা হবে। যাতে তারা কেবল অনুশীলন ও আসল জিনিসের মধ্যে পার্থক্য বুঝতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বছরের এই সময়ে রাশিয়া সাধারণত তাদের পারমাণবিক অস্ত্রের মহড়া পরিচালনা করে।

পশ্চিমা নেতারা মনে করছেন, কয়েক দিনের মধ্যেই তাঁদের মহড়া শুরু হতে পারে। রাশিয়ার মহড়ায় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে। তবে রাশিয়া এ ধরনের মহড়া শুরুর আগেই ন্যাটোর মহড়া শুরু হয়তো মস্কোকে সতর্কবার্তা দিচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে।

এর আগে জেন্স স্টোলটেনবার্গ ব্রাসেলসে এক সংবাদ সম্মেলনে আশ্বাস দেন, সামরিক জোট রাশিয়ার বার্ষিক পারমাণবিক মহড়া খুব কাছ থেকে পর্যবেক্ষণ করবে। এ ছাড়া হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন কিবরি জানান, ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপসহ রাশিয়ার কৌশলগত পারমাণবিক বাহিনী বড় ধরনের মহড়া চালাতে পারে। যদিও তিনি একে নিয়মিত মহড়া হিসেবে আখ্যায়িত করেন।

সর্বশেষ খবর