বুধবার, ১৯ অক্টোবর, ২০২২ ০০:০০ টা
যুক্তরাষ্ট্রের অভিমত

দ্রুত তাইওয়ানকে একীভূত করতে চায় চীন

শান্তিপূর্ণ না হলে শক্তি প্রয়োগ করবে তারা

দ্রুত তাইওয়ানকে একীভূত করতে চায় চীন

তাইওয়ানকে দ্রুত সময়ের মধ্যে অধিভুক্ত করার পরিকল্পনা করছে চীন। আগে থেকেই এই ধারণা করছে যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টোনি ব্লিনকেন বলেন, আগে যে সময় ভেবেছিলেন তার চেয়ে দ্রুত সময়ে এটি করার পরিকল্পনা করছে চীন। তার মতে, বেইজিং সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাইওয়ানের বিষয়ে স্থিতাবস্থা আর গ্রহণযোগ্য নয়।

এর আগে রবিবার বেইজিংয়ে কমিউনিস্ট পার্টির কংগ্রেসের উদ্বোধনী ভাষণ দিয়েছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং। সেই ভাষণে তিনি বলেছিলেন, শক্তিপ্রয়োগ করে তাইওয়ানকে বেইজিংয়ের সঙ্গে যুক্ত করার বিষয় তিনি প্রত্যাখ্যান করেননি।

আর গতকাল স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি অনুষ্ঠানে ব্লিনকেন বলেন, যদি চীন শান্তিপূর্ণভাবে তাইওয়ানকে যুক্ত না করতে পারে তাহলে জবরদস্তি ও শক্তিপ্রয়োগ করবে তারা।

ব্লিনকেন আরও বলেন, এটিই গভীরভাবে স্ট্যাটাস কুন্ডকে ব্যাহত করছে এবং উত্তেজনা তৈরি করছে। এই অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, তাইওয়ানকে তারা যে কথা দিয়েছেন সেটি তারা রাখবেন এবং তাইওয়ান নিজেকে নিজে যেন রক্ষা করতে পারে সেই সহায়তা দেবেন।

তিনি বলেন, স্বশাসিত দ্বীপরাষ্ট্র তাইওয়ানকে নিজেদের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে দেখে চীন। তারা তাইওয়ানকে আবার নিজেদের সঙ্গে যুক্ত করাতে চায়। কিন্তু তাইওয়ান নিজেকে চীনের মূল ভূখন্ড থেকে আলাদা হিসেবে দেখে। কারণ, তাদের নিজস্ব শাসন ব্যবস্থা আছে। পার্লামেন্ট আছে। শাসনব্যবস্থা আছে। দীর্ঘ সময় তারা তাদের শাসনব্যবস্থাকে নিজেদের মতো পরিচালিত করেছে। কিন্তু কয়েক বছর হলো তাইওয়ানকে নিজেদের দখলে নেওয়ার কথা জোরালোভাবে বলছেন চীনের নেতারা। এ অবস্থায় ওই দ্বীপাঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্র সামরিক কৌশল নতুন করে সাজিয়েছে।

চীন যদি তাইওয়ানকে আক্রমণ করে তাহলে তাইওয়ানের সুরক্ষার পক্ষে অবস্থান নেবে যুক্তরাষ্ট্র। গত মাসে এ কথা স্পষ্টভাবে উচ্চারণ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তবে এ ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি নীতিতে অস্পষ্টতা আছে। কারণ তারা এক চীন নীতিতে বিশ্বাসী। চীনে যখন এক দশকের মধ্যে দ্বিতীয় কংগ্রেস চলমান তখন তাদের নিয়ে মন্তব্য করলেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিনকেন।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি আকস্মিকভাবে তাইওয়ান সফর করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি। তারপর থেকে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে উত্তেজনা কঠিন থেকে কঠিন অবস্থা পৌঁছেছে। ন্যান্সি পেলোসির সফরের জবাবে বড় মাত্রায় সামরিক মহড়া চালিয়েছে চীন। একে উচ্চ মাত্রায় উসকানিমূলক বলে নিন্দা জানিয়েছে তাইওয়ান।

সর্বশেষ খবর