সন্ত্রাসের পৃষ্ঠপোষক হিসেবে পাকিস্তানের একটি নেতিবাচক উপমা আছে। দেশটির ইতিহাসে কয়েকটি রাজনৈতিক হত্যাকান্ডও আছে। যাতে বহুবার উত্তাল হয়েছে পাকিস্তান। ১৯৪৭ সালে দেশটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে এর রাজনৈতিক নেতারা অনেকেই আক্রমণের মুখোমুখি হয়েছেন। সর্বশেষ যিনি প্রাণনাশ থেকে মুক্তি পেয়েছেন তিনি হলেন পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) পার্টির চেয়ারম্যান এবং দেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।
পাকিস্তানের প্রথম প্রধানমন্ত্রী লিয়াকত আলী খানকে রাওয়ালপিন্ডির কোম্পানি বাগে স্টেজের ওপর হত্যা করা হয়। পরবর্তীকালে এর নামকরণ করা হয় লিয়াকতবাগ। শুধু হত্যা নয়, দেশটির একজন দৃঢ়চেতা নেতা জুলফিকার আলী ভুট্টোকে ফাঁসি দিয়ে হত্যা করে জেনারেল জিয়াউল হকের সামরিক শাসন। লিয়াকতবাগ থেকে কিছুটা দূরেই তাকে ফাঁসি দেওয়া হয়। তার ফাঁসির ৯ বছর পরে বিমান দুর্ঘটনায় নিহত হন জেনারেল জিয়াউল হক। কিছু মহল থেকে সন্দেহ করা হয় এ বিমান দুর্ঘটনা একটি হত্যাকান্ড।
পাকিস্তানের দুবারের প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টোর নৃশংস হত্যাকান্ডের সাক্ষী থেকেছে দেশ। তার প্রাণনাশের হুমকি ছিল এবং সেই কারণে উচ্চ নিরাপত্তা থাকা সত্ত্বেও একই শহরে হত্যা করা হয় তাকে। মজার বিষয় হচ্ছে, বেনজির ভুট্টোর লাশের ময়নাতদন্ত করতে দেননি তার স্বামী। মৃত্যুর কারণ নির্ণয়ের জন্য ময়নাতদন্ত খুবই গুরুত্বপূর্ণ হলেও বেনজিরের ক্ষেত্রে সেই সুযোগ পাওয়া যায়নি। পাশাপাশি বেনজির ভুট্টোর খুনিরাও ধরা পড়েনি।পিটিআই চেয়ারম্যান ইমরান খান সম্প্রতি একটি চিঠি দেখিয়ে দাবি করেছিলেন, তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে তিনি সরকারের পদত্যাগ চেয়ে দেশব্যাপী লং মার্চ শুরু করেন।
আর লং মার্চ চলাকালে ওয়াজিরাবাদের জাফারালি খান চকে তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। তিনটি গুলি তার পায়ে লেগেছে। তবে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তিনি আশঙ্কামুক্ত। ঘটনায় ইমরান ছাড়াও আরও চারজন আহত হয়েছেন।