সিরিয়ায় উত্তরপশ্চিমাঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের ছোট একটি সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে রকেট হামলা চালানো হয়েছে বলে মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম) জানিয়েছে। ওই অঞ্চলের ‘কষ্টার্জিত স্থিতিশীলতার’ অবমূল্যায়ন করার জন্য ‘এখনো শনাক্ত করা যায়নি’ এমন হামলাকারীদের নিন্দা জানিয়েছে সেন্টকম। স্থানীয় কুর্দি সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে তুরস্কের সহিংসতা বাড়তে থাকার মধ্যেই এ হামলাটি হয়। এক বিবৃতিতে সেন্টকম জানায়, স্থানীয় সময় শুক্রবার রাতে আল শাদ্দাদি শহরের কাছে মার্কিন ‘টহল ঘাঁটি’ লক্ষ্য করে অন্তত দুটি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়। এ হামলায় ঘাঁটিটির কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি বলে জানিয়েছে তারা। কারা এ হামলা চালাতে পারে, বিবৃতিতে সে বিষয়ে কোনো ইঙ্গিত দেওয়া হয়নি। হামলায় কোন ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে সে বিষয়েও কিছু জানানো হয়নি। এতে আরও বলা হয়, ‘যে স্থান থেকে’ হামলাটি চালানো হয়েছে পরে কুর্দি বাহিনীগুলো সেখান থেকে ছোড়া হয়নি এমন ‘তৃতীয় আরেকটি রকেট’ পায়। ইস্তাম্বুলে বোমা বিস্ফোরণের প্রতিক্রিয়ায় তুরস্ক সম্প্রতি সিরিয়া ও ইরাকে কুর্দি বাহিনীগুলোর অবস্থান লক্ষ্য করে হামলা শুরু করেছে।
বিবৃতির এমন ভাষ্যে হামলাটি সিরিয়ার সীমান্তের বাইরে থেকে চালানো হয়নি এবং ক্ষেপণাস্ত্রগুলো তুলনামূলকভাবে নিকটবর্তী কোনো স্থান থেকে ছোড়া হয়েছে, এমন ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে বলে ভাষ্য রুশ গণমাধ্যম আরটির। সেন্টকমের মুখপাত্র জো বুচিনো বলেছেন, ‘এ ধরনের হামলা জোট বাহিনী ও বেসামরিকদের ঝুঁকির মধ্যে ফেলে এবং সিরিয়া ও ওই অঞ্চলের কষ্টার্জিত নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতাকে অবমূল্যায়ন করে।’
আঙ্কারার এসব সামরিক পদক্ষেপে পেন্টাগন ‘গভীর উদ্বেগ’ প্রকাশ করে বলেছে, তুরস্কের হামলা সিরিয়ায় অবস্থানরত মার্কিন সেনাদের ‘সরাসরি হুমকির’ মুখে ফেলেছে। তাদের এ উদ্বেগ প্রকাশের দুই দিন পরই দেশটিতে মার্কিন ঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলার এ ঘটনা ঘটল। দামেস্কের বাশার আল আসাদ সরকারের আপত্তি সত্ত্বেও সিরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে প্রায় ৯০০ মার্কিন সেনা মোতায়েন করে রেখেছে পেন্টাগন। এসব সেনারা কুর্দি যোদ্ধাদের জোট সিরিয়ান ডেমোক্র্যাটিক ফোর্সেসকে (এসডিএফ) সামরিক সহযোগিতা দিচ্ছে।