ট্রান্সআটলান্টিক বাণিজ্য ও ক্রমবর্ধমান চীনের বাণিজ্য পরিচালনার বিষয়ে আলোচনার লক্ষ্য নিয়ে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বৃহস্পতিবার একটি রাষ্ট্রীয় সফরে হোয়াইট হাউসে পৌঁছলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তাঁকে আমন্ত্রণ জানান। ফরাসি নেতাকে স্বাগত জানাতে হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে এক সামরিক গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। এ সময় ম্যাক্রোঁর স্ত্রী ব্রিজিত সঙ্গে ছিলেন। বৈঠকে উত্তেজনা প্রশমিত করার বিষয়ে দুই প্রেসিডেন্টের মধ্যে আলোচনা হয়েছে বলে আশা করা হচ্ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রাচীনতম মিত্র ফ্রান্স। ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন মোকাবিলাকারী পশ্চিমা জোটে তাদের ঘনিষ্ঠ অংশীদারিত্ব রয়েছে। দুই সরকার তাদের ঐতিহাসিক সংযোগের ওপর জোর দিয়েছে। তবে ম্যাক্রোঁ স্পষ্ট করে জানান যে, তিনি কেবল সম্পর্কের সহজ অংশগুলো নিয়ে আলোচনা করতে ওয়াশিংটন সফর করছেন না।খবর এএফপির।
বুধবার আইনপ্রণেতা ও ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে এক মধ্যাহ্নভোজে ম্যাক্রোঁ বাইডেন স্বাক্ষরকৃত ‘ইনফ্লেশন রিডাকশন অ্যাক্ট (আইআরএ)’ নীতির কঠোর সমালোচনা করেন। মার্কিন ভিত্তিক নির্মাতাদের শক্তিশালী সমর্থনপ্রাপ্ত নীতিটি পরিবেশবান্ধব শিল্পে বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করতে প্রস্তুত রয়েছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের সরকারগুলো তাদের নিজস্ব সবুজ অর্থনীতি খাতে ভর্তুকি দিয়ে একটি বাণিজ্য যুদ্ধ শুরু করার হুমকি দিচ্ছে। হোয়াইট হাউস মার্কিন উৎপাদন পুনরুজ্জীবিত এবং পুনর্নবীকরণযোগ্য প্রযুক্তির প্রচারের জন্য একটি যুগান্তকারী প্রচেষ্টা হিসেবে আইআরএ আইনটিকে দাবি করছে। ম্যাক্রোঁ ‘এটি আমাদের ব্যবসায়ীদের জন্য অত্যন্ত আক্রমণাত্মক’ বলে উল্লেখ করেন। তিনি আইনটিকে অন্যায্য মার্কিন অনুশীলন হিসেবে বর্ণনা করে বলেন, এটি ইউরোপীয় চাকরিগুলোকে ‘হত্যা’ করবে।ম্যাক্রোঁ বলেন, ‘আইআরএ-এর পরিণতি হলো, আপনি সম্ভবত আপনার সমস্যাটি সমাধান করবেন তবে আপনি আমার সমস্যা বাড়িয়ে তুলবেন।’ তবে হোয়াইট হাউস জোর দিয়ে প্রতিক্রিয়া জানায় যে রাষ্ট্রীয় সফরটি দুই প্রেসিডেন্টের ‘উষ্ণ সম্পর্ক’ তৈরি করবে।
হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি কারিন জিন-পিয়ের বলেছেন, ক্লিন এনার্জি অর্থনীতিতে মার্কিন অগ্রগতি ইউরোপীয়দেরও সাহায্য করবে। ‘আইআরএ ইউরোপীয় সংস্থাগুলোর জন্য উল্লেখযোগ্য সুযোগের পাশাপাশি ইইউ শক্তি সুরক্ষার সুবিধাগুলো উপস্থাপন করে। এটি একটি শূন্য-সমষ্টির খেলা নয়।’
ফরাসি দূতাবাসে এক বক্তৃতায় ম্যাক্রোঁ বলেন, ভর্তুকি ইউরোপের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের ক্ষেত্রে সত্যিকারের স্টিকিং পয়েন্ট হয়ে উঠতে পারে।