সোমবার, ৯ জানুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

গুপ্তধন সন্ধানের হিড়িক!

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় হিটলারের জার্মানি দখল করেছিল অনেক দেশ। এর মধ্যে ছিল নেদারল্যান্ডসও। যুদ্ধ চলাকালে ১৯৪৪ সালে নেদারল্যান্ডসের একটি ব্যাংকে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। ব্যাংকটিতে সে সময় হিরা, সোনা-দানাসহ অনেক রত্ন ও গয়না লুট করে নাৎসিরা। কিন্তু সেগুলো তারা দেশে নিয়ে যেতে পারেনি। সেগুলো তারা জঙ্গলে গোপন স্থানে লুকিয়ে রাখে। কিন্তু সেই স্থানের একটি ম্যাপ তৈরি করেন জার্মান সেনারা। যুদ্ধে মিত্রবাহিনীর কাছে পরাজয় হয় জার্মানির। পরের বছর অর্থাৎ ১৯৪৫ সালে জার্মান দখলদারিত্ব থেকে মুক্ত হয় নেদারল্যান্ডস। মুক্ত হওয়ার পর এক জার্মান সেনার কাছ থেকে একটি ম্যাপ উদ্ধার করে নেদারল্যান্ডসে জার্মান (চুরি/লুট করা) সম্পদ অনুসন্ধানের দায়িত্ব পাওয়া একটি সংস্থা।  ধারণা করা হচ্ছে, পুরনো এ ম্যাপে বিপুল পরিমাণ লুট করা সম্পদ লুকিয়ে রাখার জায়গা নির্দেশ করেছেন জার্মান সেনারা। ফলে এটি খুঁজে পেলে বিশাল আবিষ্কারই হবে। আর সে আশাতেই অপেশাদার গুপ্তচর সন্ধানীরা মেটাল ডিটেক্টর ও বেলচা নিয়ে মাঠঘাট চষে বেড়াচ্ছে নেদারল্যান্ডসে। কয়েকদিন ধরে চলছে তাদের এ অভিযান। এর সূত্রপাত্র হয় যখন ডাচ ন্যাশনাল আর্কাইভ ম্যাপটি জনসম্মুখে প্রকাশ করে। আর্কাইভের তথ্যে ম্যাপটি সম্পর্কে বলা হয়- এতে সম্ভবত গুপ্তধন লুকিয়ে রাখার জায়গা নির্দেশ করা হয়েছে। ম্যাপে নির্দেশিত জায়গাটি হচ্ছে নেদারল্যান্ডসের পূর্ব দিকের গ্রামীণ ওম্মেরান এলাকা। ব্যস আর কী চাই! এখন শখের গুপ্তচর সন্ধানীরা সেখানে প্রতিটি ইঞ্চি তন্ন তন্ন করে খুঁজছেন। ডাচ ন্যাশনাল আর্কাইভের মুখপাত্র আন্নে-ম্যারিয়েকে স্যামসন বলেন, ‘সত্যিই কোনোদিন এই গুপ্তধন ছিল কি না, সে সম্পর্কে নিশ্চিত নই আমরা, তবে আমাদের গবেষণা বলছে, গুপ্তধন লুকিয়ে রাখার গল্পের বিশ্বাসযোগ্যতা রয়েছে’। স্যামসন আরও বলেছেন, ‘থাকলেও আমরা এটি কখনো খুঁজে পাইনি।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর