শুক্রবার, ২৭ জানুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

ট্যাংকের পর এবার যুদ্ধবিমান চাচ্ছে ইউক্রেন

ইউক্রেন যুদ্ধে নতুন মাত্রা দিচ্ছে জার্মানি ও যুক্তরাষ্ট্রের ট্যাংক। শিগগিরই ইউক্রেনের হাতে চলে আসছে জার্মানির তৈরি সর্বাধুনিক ট্যাংক লিওপার্ড-২ এবং যুক্তরাষ্ট্রের আব্রামস। তবে এ সিদ্ধান্তের মধ্যে ইউক্রেন নতুনভাবে চেয়ে বসেছে আধুনিক যুদ্ধবিমানও। বলা হয়েছে, মিত্রদের কাছে চতুর্থ প্রজন্মের মার্কিন এফ-১৬ যুদ্ধবিমান চাইবে তারা। যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা মিত্রদের কাছে দীর্ঘদিন ধরে অত্যাধুনিক ট্যাংক চেয়ে আসছিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। কয়েক সপ্তাহের জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে বুধবার জার্মানি জানিয়েছে, তারা ইউক্রেনকে ১৪টি লিওপার্ড-২ ট্যাংক দেবে। একই দিন যুক্তরাষ্ট্র দেশটিকে ৩১টি আব্রামস ট্যাংক দেবে বলেও জানিয়েছে। এর আগে দেশটিকে ১৪টি চ্যালেঞ্জার-২ ট্যাংক দেওয়ার ঘোষণা দেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। এ ঘটনায় প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে রাশিয়া। গতকাল ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ এক বিবৃতিতে বলেছেন, কিয়েভে ট্যাংক দেওয়ার প্রতিশ্রুতি পশ্চিমাদের ইউক্রেনে প্রকাশ্য সম্পৃক্ততার প্রমাণ। যুদ্ধে ইউক্রেনের পশ্চিমা মিত্রদের সম্পৃক্ততা বাড়ছে বলেও মন্তব্য করেন পেসকভ। বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, খোলাখুলিভাবে আমরা এ সিদ্ধান্তের সঙ্গে (ট্যাংক দেওয়ার সিদ্ধান্ত) দ্বিমত পোষণ করি। এরই মধ্যে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওলেস্কি রেজনিকভের উপদেষ্টা ইউরি সাক বলেন, পরবর্তী বড় চাওয়া হবে যুদ্ধবিমান। আমরা যদিও চাহিদামতো যুদ্ধবিমান পেয়ে যাই, তবে যুদ্ধক্ষেত্রে অর্জনগুলো অপরিসীম হবে... এটা শুধু এফ-১৬ যুদ্ধবিমান নয়। এটা চতুর্থ প্রজন্মের অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান, যা আমরা চাই। ইউক্রেনের বিমানবাহিনীর কাছে সাবেক সোভিয়েত আমলের যুদ্ধবিমান রয়েছে। পুরোনো এসব যুদ্ধবিমান ব্যবহার করে শক্তিশালী রুশবাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে দেশটি। তাই চলমান যুদ্ধে পশ্চিমা সামরিক সহায়তা কিয়েভের জন্য প্রয়োজনীয় বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও দেশটিতে অস্ত্রসহায়তা নিয়ে বিতর্ক-সমালোচনা রয়েছে; এরপরও যুদ্ধ শুরুর পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের দেশগুলো অর্থ-অস্ত্রসহায়তা অব্যাহত রেখেছে। ইউরি সাক আরও বলেন, ‘তারা (মিত্ররা) আমাদের শুরুতে ভারী কামান দিতে চায়নি, পরে দিয়েছে। এমনকি রকেট-ব্যবস্থা হিমার্স দিতে চায়নি, পরে সেটাও দিয়েছে। তারা আমাদের ট্যাংক দিতে চায়নি, এখন ট্যাংকও দিচ্ছে। পারমাণবিক অস্ত্র ছাড়া এমন কিছু নেই, যা আমরা পাব না।’

তবে ইউক্রেনকে যুদ্ধবিমান দেওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎজ। গত পরশু তিনি এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘আমি আগেও বলেছি, ইউক্রেনকে যুদ্ধবিমান দেওয়ার বিষয়ে মিত্রদের সঙ্গে কোনো আলোচনা হয়নি; আমি এখনো সেটাই বলছি।’ রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর সেনারা অংশ নেবেন না বলেও জানান ওলাফ শলৎজ। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘যে কোনো পরিস্থিতিতে ইউক্রেনে যুদ্ধ করতে আমরা স্থলবাহিনী পাঠাব না।

আমি বলেছি, ন্যাটোর সেনারা ইউক্রেন যুদ্ধে কখনোই প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত হবে না। এখন পর্যন্ত এটা হয়নি, ভবিষ্যতেও হবে না। সবাই এ কথার ওপর আস্থা রাখতে পারেন।’

সর্বশেষ খবর