সোমবার, ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

বাখমুত, উগলেদার, লিমান দখলের অপেক্ষায় রাশিয়া

খোদ ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি জানালেন তার দেশের পূর্বাঞ্চলীয় ফ্রন্টের অবস্থা ভয়ংকর হয়ে উঠছে। তিনি এক ভিডিও বার্তায় বলেন, আর্টিমোভস্ক (বাখমুত), উগলেদার এবং লিমানসহ কিছু স্থানে পরিস্থিতি অত্যন্ত কঠিন রূপ ধারণ করেছে। দক্ষিণাঞ্চলীয় অঞ্চল ওডেসার একটি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রে দুর্ঘটনার কারণে ৫ লাখেরও বেশি বাড়ি বিদ্যুৎহীন হয়ে আছে।

জেলেনস্কি যে তিন শহরের নাম বলেছেন তা এ যুদ্ধে ইউক্রেনকে টিকিয়ে রাখতে সব থেকে বড় ভূমিকা রাখছে। এগুলোর যে কোনো একটির পতন হলেও দ্রুত সময়ের মধ্যে রাশিয়ার কাছে বিশাল অঞ্চল হারাবে দেশটি। গত মাসে সোলেদার শহর দখল করে রাশিয়া। এরপর থেকে উল্লেখযোগ্য কোনো জয় নেই দেশটির। দেশটির ভাড়াটে সেনাদের দল ওয়াগনার বাখমুত দখলে শহরটিকে তিন দিক থেকে ঘিরে ফেলেছে। এ শহরের পতন হলে ইউক্রেনের ফ্রন্ট লাইন পুরোপুরি ভেঙে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ ছাড়া কয়লা খনিকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা শহর উগলেদারেও প্রবেশ করেছে রুশ সেনারা। ইউক্রেনের ডেপুটি প্রতিরক্ষামন্ত্রী হ্যানা ম্যালিয়ার টেলিগ্রাম চ্যানেলে জানিয়েছেন, বাখমুত এবং লিমানে প্রবেশে রাশিয়ার চেষ্টা রুখে দেওয়া হয়েছে। যুদ্ধের প্রথমে অনেকটা বিনা বাধায় লিমান দখলে নিয়েছিল রুশ বাহিনী। তবে গত অক্টোবরে ইউক্রেনের পাল্টা আক্রমণে লিমান শহরের নিয়ন্ত্রণ হারায় রাশিয়া। এখন আবারও এ শহর দখলে শক্তি প্রয়োগ করছে দেশটি।

এদিকে ইউক্রেনে যুদ্ধ করতে যাওয়া বিদেশি সেনাদের আরও মৃত্যুর খবর পাওয়া যাচ্ছে। ইউক্রেনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তারা পূর্বাঞ্চলীয় ফ্রন্ট থেকে দুই ব্রিটিশ নাগরিকের লাশ উদ্ধার করেছেন। তাদের নাম ক্রিস প্যারি (২৮) এবং অ্যান্ডরু বাগশ (৪৭)। দনেৎস্ক অঞ্চলে তাদের গাড়ি উড়িয়ে দিয়েছে রাশিয়া। এতেই তাদের মৃত্যু   হয়েছে বলে জানিয়েছে ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা। সম্প্রতি রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে আরেকটি বন্দি বিনিময় অনুষ্ঠিত হয়। এতে  ইউক্রেনের ১১৬ বন্দিকে মুক্তি দেয় রাশিয়া। অন্যদিকে রাশিয়ার ৬৩ বন্দিকে ছেড়ে দিয়েছে ইউক্রেন।

সর্বশেষ খবর