শনিবার, ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

মানবিক সংকটে সিরিয়ার ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ

তুরস্ক-সিরিয়ায় ভূমিকম্প

মানবিক সংকটে সিরিয়ার ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ

ভূমিকম্প আঘাত হানায় তুরস্ক বিভিন্ন দেশ ও সংস্থার সাহায্য পেলেও সিরিয়ার ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় তেমন পায়নি। ভূমিকম্পের পর চার দিন পার হয়েছে এবং সাহায্যের অভাবে উত্তর-পশ্চিম সিরিয়ার পরিস্থিতি মরিয়া হয়ে উঠেছে বলে জানিয়েছে বিবিসি। উত্তর সিরিয়ার একটি হাসপাতালে কর্মরত ডাক্তার মোহাম্মদ হাসাউন বিবিসিকে জানিয়েছেন, ভূমিকম্পের পর এখন তাদের কাছে যে চিকিৎসা সামগ্রী রয়েছে তা দিয়ে দেশের উত্তরাঞ্চলের ২০% মানুষের চাহিদাও পূরণ হবে না।

এদিকে ভূমিকম্পের পর জাতিসংঘের পদক্ষেপ নিয়ে সমালোচনা করেছে উত্তর-পশ্চিম সিরিয়ার বিদ্রোহী-নিয়ন্ত্রিত এলাকায় সাহায্য নিয়ে কাজ করছে এমন একটি বেসামরিক ত্রাণ সংস্থা হোয়াইট হেলমেট। সংস্থাটির প্রধান রায়েদ আল-সালেহ মন্তব্য করেন, ত্রাণ নিয়ে জাতিসংঘের প্রাথমিক পদক্ষেপ খুবই বাজে। জাতিসংঘ নিরপেক্ষভাবে কাজ করছে না। যদিও বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের প্রথম ত্রাণবাহী গাড়িবহর তুরস্ক থেকে সীমান্ত অতিক্রম করে ওই অঞ্চলে প্রবেশ করে। ইদলিব থেকে ভিডিও লিঙ্কের মাধ্যমে জেনেভায় জাতিসংঘের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলার সময় আল-সালেহ বলেন, ভূমিকম্পের ১০০ ঘণ্টা পর যে ত্রাণ বহর উত্তর-পশ্চিম সিরিয়ায় পৌঁছেছে তাতে ছিল মাত্র ছয় ট্রাকভর্তি সাহায্য সামগ্রী। এগুলো ভূমিকম্পের আগেই সেখানে যাওয়ার কথা ছিল। তুরস্ক থেকে সিরিয়া পর্যন্ত স্থল সীমান্তের ক্রসিংগুলো রাশিয়ার পীড়াপীড়িতে কমিয়ে আনা হয়েছে। যার ফলে বিরোধীদের নিয়ন্ত্রণে থাকা সিরীয় ভূখন্ডের কিছু অংশে জাতিসংঘের মানবিক ত্রাণ বিতরণ এক বছরেরও বেশি সময় ধরে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

রাশিয়া বলেছে, সাহায্য সামগ্রীগুলো সিরিয়ার সরকারের মাধ্যমে যাওয়া উচিত। কিন্তু হোয়াইট হেলমেট গতকাল দাবি করেছে, ভূমিকম্পের পর সিরিয়ার সরকার উত্তর সিরিয়ায় কিছুই পাঠায়নি। আল-সালেহ আরও কিছু মানবিক করিডোর খোলার জন্য জাতিসংঘকে পরামর্শ দিয়েছিলেন, কিন্তু তারা ‘রাশিয়াকে রাগাতে চায়নি’ বলে তিনি বলেন। জাতিসংঘের কর্মকর্তারা অবশ্যই আল-সালেহর এ ব্যাখ্যা মেনে নেবেন না। জাতিসংঘের জরুরি ত্রাণ সংস্থার প্রধান মার্টিন গ্রিফিথনের দু-এক দিনের মধ্যে উত্তর-পশ্চিম সিরিয়া যাওয়ার কথা রয়েছে। তবে এ সফরের সময় তিনি হোয়াইট হেলমেট কর্মীদের সঙ্গে দেখা করবেন কি না তা এখনো স্পষ্ট নয়।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স খবর দিচ্ছে, জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি ডব্লিউএফপি গতকাল জানিয়েছে উত্তর-পশ্চিম সিরিয়ায়, যেখানে ৯০% মানুষ সাহায্যের ওপর নির্ভরশীল, সেখানে খাদ্যের মজুদ দ্রুত ফুরিয়ে আসছে।

সর্বশেষ খবর