শুক্রবার, ১০ মার্চ, ২০২৩ ০০:০০ টা

মুসলমানদের মনের কথা জানতে কমিটি গঠন করলেন মমতা

মুসলমানদের মনের কথা জানতে কমিটি গঠন করলেন মমতা

পশ্চিমবঙ্গের সাগরদিঘিতে বিধানসভার উপনির্বাচনে গো-হারা হেরেছে রাজ্যের ক্ষমতাসীন দল তৃণমূল কংগ্রেস। এই সাগরদিঘি মুসলিম-অধ্যুষিত এলাকা। এ আসনের ভোটারদের মধ্যে ৬৪ শতাংশ সংখ্যালঘু মুসলিম। এই পরাজয়কে মেনে নিতে পারছে না তৃণমূল। সাগরদিঘির ফলাফল তৃণমূলকে ভাবিয়ে তুলেছে। পরাজয়ের পর এবার মুসলমানদের ‘মনের কথা জানতে’ চার সদস্যের একটি কমিটি গঠন করল তৃণমূল কংগ্রেস। রাজ্যের চার মুসলিম মন্ত্রীই এর সদস্য। খবর আনন্দবাজার পত্রিকা।

কমিটির চার সদস্য হলেন- মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী, সাবিনা ইয়াসমীন, আখতারুজ্জামান এবং গোলাম রব্বানী। এই কমিটি সংখ্যালঘু মুসলিমদের মনের ভিতরে গিয়ে জানতে চাইবে কেন তাদের অনেকে তৃণমূলকে ভোট দেননি?

কী অভিযোগ রয়েছে তাদের? তারা কি রাজ্য সরকারের গৃহীত উন্নয়ন প্রকল্প বা নানা পদক্ষেপে সন্তুষ্ট নন? ফলে এসব প্রশ্ন নিয়ে খোদ তৃণমূলে চুলচেরা বিশ্লেষণ চলছে।

মুর্শিদাবাদ জেলার জঙ্গিপুর লোকসভা আসনের সাগরদিঘি বিধানসভার তিনবারের তৃণমূল বিধায়ক ও রাজ্যের মন্ত্রী সুব্রত সাহার আকস্মিক মৃত্যুতে ওই আসন শূন্য হয়। কিন্তু উপনির্বাচনে গো-হারা হারেন তৃণমূল প্রার্থী দেবাশীষ বন্দ্যোপাধ্যায়। জয়ী হন কংগ্রেস ও বাম দলের প্রার্থী কংগ্রেস নেতা বায়রন বিশ্বাস।

কারণ, মুসলিম ভোট মমতার তৃণমূল কংগ্রেসের ভরসা বলে মনে করা হয়। আর এই সাগরদিঘি আসনের ভোটারদের মধ্যে ৬৪ শতাংশ সংখ্যালঘু মুসলিম সম্প্রদায়ের। তারা এই আসনে বরাবরই তৃণমূলকে ভোট দিয়ে আসছিল।

গত বিধানসভা নির্বাচনে যেখানে তৃণমূল প্রার্থী সুব্রত সাহা প্রায় ৫১ শতাংশ ভোট পেয়েছিলেন আর এবারের উপনির্বাচনে সেই ভোটের হার নেমে এসেছে প্রায় ৩৫ শতাংশে। অথচ ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে জঙ্গিপুর আসন থেকেও ২ লাখ ৪৫ হাজার ৭৮২ ভোটের ব্যবধানে জয়ী হন তৃণমূল প্রার্থী খলিলুর রহমান। আবার ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে সাগরদিঘি আসনে ৫০ হাজার ২০৬ ভোটের ব্যবধানে জেতেন তৃণমূল প্রার্থী সুব্রত সাহা।

সর্বশেষ খবর