বুধবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৩ ০০:০০ টা

অধিকৃত ইউক্রেনের দুই অঞ্চল সফরে পুতিন

সোয়া বছর হতে চলল ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের। এ সময় হামলায় ইউক্রেনকে ব্যতিব্যস্ত করে রেখেছে রাশিয়া। ইউক্রেনের অনেক অঞ্চল এ সময়ে রাশিয়ার দখলে চলে গেছে। এবার দখল করা অঞ্চলের খেরসন ও লুহানস্ক সফর করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভøাদিমিরি পুতিন। গতকাল এই সফরের কথা জানিয়েছে ক্রেমলিন। ঠিক কবে পুতিন ইউক্রেনে গিয়েছিলেন তা নিয়ে ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছে। তবে এই সফরের কথা প্রকাশ্যে আসতেই তীব্র নিন্দায় সরব হয়েছে ইউক্রেন।

রুশ সেনার অধীনে থাকা খেরসন ও লুহানস্ক এলাকা দুটি ঘুরে দেখেন রুশ প্রেসিডেন্ট। সেখানে দায়িত্বে থাকা রুশ সেনা আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকও সারেন। ক্রেমলিনের প্রকাশিত ভিডিও ফুটেজে দেখা যাচ্ছে পুতিন বলছেন, ‘আমি চাই আপনারা নিজের কাজ চালিয়ে যান।’ পুতিনের এই সফরের কথা প্রকাশ হওয়ার পর ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পরামর্শদাতা মাইখালো পোডোলাইক বলেছেন, ‘গণহত্যার নায়ক তাঁর শাগরেদদের কাজকর্ম দেখতে ইউক্রেনে এসেছিলেন। হত্যালীলা দেখে তিনি নিশ্চয়ই খুশি হয়েছেন। তবে এটাই ইউক্রেনের মাটিতে পুতিনের শেষ সফর, সেটা আমরা নিশ্চিত করব।’ কেন আচমকা ইউক্রেন সফরে গেলেন পুতিন? ক্রেমলিনের প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, সেনাকর্তাদের সঙ্গে কথা বলছেন রুশ প্রেসিডেন্ট। বিশেষজ্ঞদের অনুমান, আগামী দিনে বড়সড় হামলার পরিকল্পনা করছেন পুতিন। তার আগেই রুশ সেনার নিয়ন্ত্রণে থাকা এলাকাগুলো ঘুরে দেখে রণকৌশল ছকে নিচ্ছেন। যদিও গত কয়েক মাসে একেবারেই সাফল্য পায়নি রুশ সেনা। এক বিবৃতিতে ক্রেমলিন জানিয়েছে, পুতিন ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় খেরসন অঞ্চলে একটি সামরিক কমান্ডের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন এবং পূর্বাঞ্চলীয় লুহানস্কের ন্যাশনাল গার্ডের সদর দফতর পরিদর্শন করেন। পুতিন এয়ারবোর্ন বাহিনী, নিপার আর্মি গ্রুপের কমান্ডারদের পাশাপাশি অন্য ঊর্ধŸতন কর্মকর্তাদের কাছ থেকে খেরসন ও জাপোরিঝঝিয়া অঞ্চলের পরিস্থিতি নিয়ে তাদের তৈরি করা প্রতিবেদন শোনেন।

পুতিন কমান্ডারদের বলেন, ‘পরিস্থিতি কীভাবে বিকশিত হচ্ছে সে বিষয়ে আপনাদের মতামত শোনা, তথ্যবিনিময় করা আমার জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ।’ খেরসন, জাপোরিঝঝিয়া, লুহানস্ক ও দোনেৎস্ক গত সেপ্টেম্বরে এক গণভোটের মাধ্যমে এই চারটি অঞ্চল রাশিয়ার অন্তর্ভুক্ত করে নেন পুতিন। তবে ওই গণভোটকে ‘প্রহসন’ বলে অভিহিত করেছে কিয়েভ ও এর পশ্চিমা মিত্ররা। এ চারটি অঞ্চলের অধিকাংশই এখন রাশিয়ার বাহিনীগুলোর নিয়ন্ত্রণে আছে। গত নভেম্বরে রাশিয়ার বাহিনীগুলো খেরসন অঞ্চলের একই নামের রাজধানী খেরসন শহর থেকে পিছু হটার পর নিপার নদীর অপর তীরে অবস্থান নিয়ে তাদের শক্তি বৃদ্ধি করে চলেছে।

সর্বশেষ খবর