শুক্রবার, ২১ এপ্রিল, ২০২৩ ০০:০০ টা

মেটাভার্সে বদলে যাচ্ছে আগামী দিনের শিল্প

মেটাভার্সে বদলে যাচ্ছে আগামী দিনের শিল্প

আগামী দিনে বিশ্বের শিল্প খাত কোন পথে যাবে, কোন ধরনের প্রযুক্তির দিকে উৎপাদকরা ঝুঁকবেন, তার ধারণা মেলে জার্মানির হানোফারের শিল্পমেলায়। মেলায় এবার আলোচিত বিষয় মেটাভার্স। ২০২১ সাল থেকেই মেটা প্রযুক্তি নিয়ে হইচই চলছে। বিশ্বের সবচেয়ে বড় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক তাদের কোম্পানির নাম বদলে মেটা রাখে। শুধু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের নয় মেটাজ্বর চলছে ব্যবসা-বাণিজ্যের দুনিয়াতেও। এইচ অ্যান্ড এম, নাইকিসহ বড় বড় পণ্য বিক্রেতা কোম্পানিগুলো তাদের গ্রাহকদের জন্য ভার্চুয়াল দুনিয়া তৈরি করেছে।

তবে দুই বছর পর এসে এখন অনেকেই বলছেন, মেটাভার্সের আসলে মৃত্যু ঘটেছে। এমনটা ভাবার কিছু কারণও আছে। অনেকে এ জন্য ক্রিপ্টোমুদ্রার পতনকে দায়ী করেন। অনেকে মনে করেন মেটার জায়গাটি আসলে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি নিয়ে নিয়েছে। চ্যাটজিপিটির মতো উদ্ভাবন প্রযুক্তি শিল্পের নজরকে অন্যদিকে ঘুরিয়ে দিয়েছে।

বাস্তব ও ভার্চুয়াল দুনিয়ার মেলবন্ধন : মেটাভার্সের মূল বিষয় হলো ভার্চুয়াল পৃথিবীর সঙ্গে বাস্তবের মেলবন্ধন ঘটানো, এমনটাই মনে করেন জার্মান তথ্য প্রযুক্তি ও টেলিযোগাযোগ কোম্পানি বিটকমের ব্যবস্থাপক সেবাস্তিয়ান ক্লু¬্যস। কারখানার মেশিন ডেটা ও বাস্তবের ডেটার মধ্যে ভার্চুয়াল ওয়ার্ল্ডের সংযোগ ঘটানোই ইন্ডাস্ট্রিয়াল মেটাভার্সের লক্ষ্য, বলেন তিনি। মেলায় ভার্চুয়াল রিয়্যালিটি হ্যাডসেট, স্মার্ট গ্লাস, সেন্সর গ্লাভসসহ ভার্চুয়ালি বা রিমোট প্রযুক্তির মাধ্যমে দূর থেকে কাজ করে এমন নানা প্রযুক্তির দেখা মিলছে আছে লেজার স্ক্যানার প্রযুক্তি, যা বাস্তব কোনো কিছুর ডিজিটাল কপি তৈরি করতে পারে। ‘ডিজিটাল টুইন’ নামে পরিচিত এ প্রযুক্তিকে ইন্ডাস্ট্রিয়া মেটাভার্সের মূল অনুষঙ্গ হিসেবে দেখা হচ্ছে। এটি হতে পারে অটোমোবাইল, ক্ষুদ্র যন্ত্রাংশ এমনকি গোটা কারখানার কপিও।

সর্বশেষ খবর