বৃহস্পতিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৩ ০০:০০ টা

প্রধানমন্ত্রিত্ব ছেড়ে হার্ভার্ডের শিক্ষক নিউজিল্যান্ডের জাসিন্ডা

প্রধানমন্ত্রিত্ব ছেড়ে হার্ভার্ডের শিক্ষক নিউজিল্যান্ডের জাসিন্ডা

জাসিন্ডা আরডার্ন তরুণ বয়সেই নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে ইস্তফা দিয়েছেন গত জানুয়ারিতে। ২০১৭ সালে মাত্র ৩৭ বছর বয়সে নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন তিনি। শুধু প্রধানমন্ত্রিত্বই না, রাজনীতি থেকেও দূরে থাকার কথা বলেছেন জাসিন্ডা। এখন জানা গেল, রাজনীতি ফেলে তিনি মূলত বিদেশে নিরিবিলি শিক্ষকতার জীবন বেছে নিতে যাচ্ছেন। সিএনএনের খবরে জানানো হয়, জাসিন্ডা এখন যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াবেন। বিশ্বের এই বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়টির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ‘স্কুল অব পাবলিক পলিসি অ্যান্ড গভর্নমেন্ট’-এ ডুয়াল ফেলোশিপে নিযুক্ত হয়েছেন জাসিন্ডা। সেখানে ‘অ্যাঞ্জেলোপোলোস গ্লোবাল পাবলিক লিডারস ফেলো’ প্রোগ্রামে কাজ করবেন তিনি। এর উদ্দেশ্য, শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বের গুণাবলি বৃদ্ধি করা। কেনেডি স্কুলের ডিন ডগলাস এলমেনডর্ফ সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেছেন, জাসিন্ডা আরডার্ন বিশ্বকে শক্তিশালী এবং সহানুভূতিশীল রাজনৈতিক নেতৃত্ব দেখিয়েছেন। তিনি তাঁর দেশের বাইরেও বিশ্বজুড়ে সম্মান অর্জন করেছেন। তিনি আমাদের শিক্ষার্থীদের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ অন্তর্দৃষ্টির জন্ম দিতে পারবেন। বিজ্ঞপ্তিতে জাসিন্ডা বলেন, আমি একজন সহকর্মী হিসেবে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদান করতে পেরে কৃতজ্ঞতা অনুভব করছি। এটি কেবল আমাকে অন্যদের সঙ্গে আমার অভিজ্ঞতা ভাগ করার সুযোগই দেবে না, এটি আমাকে শেখারও সুযোগ দেবে। একই সময়ে জাসিন্ডা হার্ভার্ড ল স্কুলের ‘বার্কম্যান ক্লেইন সেন্টার ফর ইন্টারনেট অ্যান্ড সোসাইটি’তে একটি পৃথক ফেলোশিপ সম্পন্ন করবেন, যেখানে তিনি অনলাইনে চরমপন্থি বিষয়বস্তু মোকাবিলার উপায় অধ্যয়ন করবেন।

গতকাল এক ইনস্টাগ্রাম পোস্টে জাসিন্ডা বলেন, তিনি এখন কথা বলবেন, শিক্ষকতা করবেন এবং শিখবেন। তিনি যোগ করেছেন যে, নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চ মসজিদে চরমপন্থি হামলার সময় হার্ভার্ড এগিয়ে এসেছিল। ২০১৯ সালে তিনি প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে ওই হামলায় ৫১ জন নিহত হন। হামলার দুই মাসের মাথায় ‘ক্রাইস্টচার্চ কল’ নামে একটি উদ্যোগ গ্রহণ করেন জাসিন্ডা। এর উদ্দেশ্য ছিল অনলাইনে সন্ত্রাসবাদী এবং সহিংস চরমপন্থি কন্টেন্টগুলোর মোকাবিলা করা। তিনি আরও জানান, হার্ভার্ডে থাকলেও মাঝে একটি সেমিস্টার তিনি নিউজিল্যান্ডে যাবেন। সে সময় সেখানে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তবে ফেলোশিপের শেষে তিনি আবার নিউজিল্যান্ডে ফিরে যাবেন। তিনি বলেন, দিন শেষে নিউজিল্যান্ডই আমার বাড়ি।

সর্বশেষ খবর