চলতি মাসের শুরুর দিকে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে গ্রেফতারের পর সহিংস বিক্ষোভ চলাকালে সেনা স্থাপনায় হামলার সন্দেহে অন্তত ৩৩ জনকে বিচারের জন্য সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করেছে বেসামরিক কর্তৃপক্ষ। গতকাল পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রানা সানাউল্লাহ এ খবর জানিয়েছেন।

সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘সামরিক বাহিনীর কাছে তাদেরই হস্তান্তর করা হচ্ছে যারা সংবেদনশীল প্রতিরক্ষা স্থাপনায় অনুপ্রবেশ করেছিল।’ তিনি বলেন, সেনা কর্মকর্তাদের হাতে পাঞ্জাবে মাত্র ১৯ জন এবং খাইবার পাখতুনখাওয়াতে ১৪ জনকে হস্তান্তর করা হয়েছে। এফআইআরে থাকা ৪৯৯ জনের মধ্যে মাত্র ছয়জনের আইনি প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। এদের মধ্যে দুজন পাঞ্জাবের ও চারজন খাইবার পাখতুনখাওয়ার। তাদের বিচার সামরিক আদালতে হতে পারে। সামরিক আদালতে রুদ্ধদ্বার বিচার হয়। বাইরের কারও সেখানে প্রবেশাধিকার নেই এবং কোনো গণমাধ্যমও থাকতে দেওয়া হয় না। এমন গোপন বিচার পক্রিয়ার সমালোচনা করে আসছে মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো। ৯ মে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) প্রধান ইমরান খানকে কাদির খান ট্রাস্ট মামলায় ইসলামাবাদ হাই কোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে গ্রেফতার করা হয়। এ ঘটনায় দেশজুড়ে বিক্ষোভ হয়। দলের কর্মী ও সমর্থকরা দেশজুড়ে প্রায় সব সরকারি ভবন এবং সামরিক স্থাপনায় হামলা চালায়। সেদিনই সামরিক বাহিনী দিনটিকে ‘কালো অধ্যায়’ মন্তব্য করে এবং সামরিক আইনে দাঙ্গাকারীদের বিচার করার ঘোষণা দিয়েছিল। তখন থেকেই হাজার হাজার মানুষ গ্রেফতার হয়েছে। তাদের বেশির ভাগই পিটিআই সমর্থক।