শিরোনাম
শনিবার, ১০ জুন, ২০২৩ ০০:০০ টা

প্লাবিত খেরসনে রুশ হানা

ইউক্রেনের খেরসনে মঙ্গলবার বাঁধে বিস্ফোরণ ঘটালে হুহু করে পানি ঢুকে পড়ে। এ পানি প্রায় পুরো শহরই গিলে নিয়েছে। প্রায় ৬০০ বর্গকিলোমিটার পানির নিচে রয়েছে বলে জানা গেছে। বৃহস্পতিবার পরিস্থিতি দেখতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি সেখানে যান। বলেন, ‘হাজার হাজার মানুষ কাখোভকা বাঁধ ধ্বংসের পর বন্যার প্রভাব মোকাবিলা করছে। শুধু তা-ই নয়, বহু পোষ্য ভেসে গেছে। তাদেরও আমরা বাঁচাতে চেষ্টা করছি।’ এ অবস্থার মধ্যে ইউক্রেনের দক্ষিণ ও পূর্বাঞ্চলে তুমুল লড়াইয়ের কথা জানিয়েছে রাশিয়া। গতকাল রণক্ষেত্রে এ লড়াই হয় বলে দাবি করছে মস্কো। তবে দীর্ঘ প্রতীক্ষিত পাল্টা আক্রমণ নিয়ে নীরবতা বজায় রেখেছে কিয়েভ। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে। শুধু তাই নয়, জেলেনস্কির এ সফরের কিছুক্ষণের মধ্যেই এই প্লাবিত শহরে ফের রকেট হামলা চালায় রাশিয়া। মানুষজন যখন উদ্ধার পাওয়ার জন্য ‘শিপ স্কোয়ার’-এর সামনে জড়ো হয়েছে, তখনই শুরু হয় রাশিয়ার আক্রমণ। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বারবার বোমা ও ক্ষেপণাস্ত্র বর্ষণ করতে থাকে রাশিয়া। খেরসন অঞ্চলের গভর্নর ওলেকজান্ডার প্রকুদিন বলেন, প্লাবিত জমির প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ রাশিয়ার দখলে থাকা নিপ্রো নদীর পাশে অবস্থিত, এক-তৃতীয়াংশ এখনো ইউক্রেনের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তিনি জানান, বন্যাকবলিত এলাকা থেকে লোকজন সরিয়ে নিতে চেষ্টা চলছে।

বিস্ফোরণের প্রমাণ পেয়েছেন বিশেষজ্ঞরা : বিস্ফোরণ হয়েছিল বলে তথ্যপ্রমাণ পেয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, বাঁধ ভেঙে যে সময় পানি ভিতরে ঢুকতে শুরু করে, ঠিক সেই একই সময়ে এ বিস্ফোরণ ঘটেছিল। নরওয়ের বিশেষজ্ঞদের একটি দল সাইসমিক বা ভূকম্পন-ঘটিত কিছু সংকেত পর্যালোচনা করে সেখানে বিস্ফোরণের তথ্যপ্রমাণ পেয়েছে। এসব সংকেত প্রতিবেশী রোমানিয়ায় শনাক্ত করা হয়েছে।

দক্ষিণাঞ্চলে তুমুল লড়াই : রুশপন্থি সামরিক ব্লগাররা গতকাল জাপোরিঝঝিয়া রণক্ষেত্রে তুমুল লড়াইয়ের কথা উল্লেখ করেছেন। ওরিখিভ শহরের কাছাকাছি অঞ্চলে ক্রিমিয়া উপদ্বীপের সঙ্গে রাশিয়াকে সংযুক্তকারী একটি স্থলসংযোগের মাঝামাঝি এ লড়াই হয়। এ স্থলসংযোগকে ইউক্রেনের একটি সম্ভাব্য প্রধান নিশানা হিসেবে মনে করা হচ্ছে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর