বৃহস্পতিবার, ১৫ জুন, ২০২৩ ০০:০০ টা

মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন প্রভাব কমাতে চায় চীন-সৌদি আরব

জেরুজালেম পোস্টের রিপোর্ট

দশকের পর দশক ধরে মধ্যপ্রাচ্যে একই প্রভাব বিস্তার করেছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে সেই দিন সম্ভবত শেষ হতে চলেছে। সৌদি আরবকে সব সময় মার্কিন মিত্র মনে হলেও এখন সেই সম্পর্কে ভাটা পড়েছে। ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের (এমবিএস) সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের জো বাইডেন প্রশাসনের স্নায়ুযুদ্ধের খবর এখন প্রকাশ্যে চলে এসেছে। এমন পরিস্থিতিতে শূন্যস্থান পূরণে এগিয়ে এসেছে এশিয়ার পরাশক্তি চীন। এক সময় যুক্তরাষ্ট্র মধ্যপ্রাচ্যে যে ভূমিকায় ছিল, চীন তা এখন ধীরে ধীরে নিজের করে নিচ্ছে। তবে সেটা রাজনীতির চেয়ে অর্থনীতিকে কেন্দ্র করেই।

যুক্তরাষ্ট্র কি তাহলে মধ্যপ্রাচ্যে নিজের প্রভাব হারাচ্ছে? এই প্রশ্নের উত্তরও জটিল। ওহাইও স্টেট ইউনিভার্সিটির মিডল ইস্ট স্টাডিজ সেন্টারের সহকারী পরিচালক এবং ‘কিস টু আন্ডারস্ট্যান্ডিং দ্য মিডল ইস্ট’ বইয়ের লেখক ড. মেলিন্ডা ম্যাকক্লিমেন্স বলেন, আপনি যদি সৌদি আরবের দিকে তাকান, তাহলে বলতে হবে আসলেই যুক্তরাষ্ট্র তার প্রভাব হারাচ্ছে। দেশটি এখন অনেক বদলে গেছে। এমবিএস ক্ষমতা নেওয়ার পর থেকে এ হাওয়া বদলের শুরু। এক সময় যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরব ছিল পরম মিত্র। কিন্তু এখন আর সেই অবস্থা নেই। এ সম্পর্কের ভবিষ্যৎ একেবারেই অনিশ্চিত।

মোহাম্মদ বিন সালমান সৌদির বাদশাহ সালমানের সপ্তম সন্তান। ২০১৭ সালের ২১ জুন তাকে ক্রাউন প্রিন্স হিসেবে মনোনয়ন দেওয়া হয়। এরপর ২০২২ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর তিনি সৌদি আরবের প্রধানমন্ত্রী হন। মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার দাবি, ২০১৮ সালে তুরস্কের সৌদি কনস্যুলেটে ওয়াশিংটন পোস্টের সাংবাদিক জামাল খাসোগিকে হত্যা ঘটনাকে কেন্দ্র করে সালমান ও বাইডেনের সম্পর্কে চির ধরে। এ অবস্থায় চীন কেবল এই অঞ্চলে তার কূটনৈতিক ভূমিকাই বাড়াচ্ছে না, এটি মধ্যপ্রাচ্যে তার সামরিক অবস্থানও বাড়াচ্ছে।

সর্বশেষ খবর