শুক্রবার, ১৬ জুন, ২০২৩ ০০:০০ টা

মুরগি আগে না ডিম? যা জানলেন বিজ্ঞানীরা

মুরগি আগে না ডিম? যা জানলেন বিজ্ঞানীরা

‘ডিম আগে না মুরগি আগে?’ প্রশ্নটি প্রায় প্রতিটি মানুষের মুখেই শোনা যায়। অনেকে তো আবার বিষয়টি নিয়ে রীতিমতো বিজ্ঞানভিত্তিক তর্কজুড়ে দেয়। কারও মতে মুরগি আগে এসেছে, আবার কারও মতে ডিম। অবশেষে বহুল আলোচিত এ প্রশ্নের সঠিক উত্তর খুঁজে পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। ব্রিস্টল বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের মতে, আধুনিক পাখি ও সরিসৃপের পূর্বসূরিরা সম্ভবত বাচ্চাই প্রসব করতেন, ডিম পাড়তেন না। যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য টাইমস ব্রিস্টল বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের ওই অনুসন্ধানের খবর দিয়েছে বলে জানিয়েছে এনডিটিভি। পাখি ও সরিসৃপদের পূর্বসূরিদের বাচ্চা প্রসব-সংক্রান্ত বিস্তারিত গবেষণাটি নেচার ইকোলজি অ্যান্ড ইভোলিউশনে প্রকাশিত হয়েছে। নানজিং বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের  সঙ্গে নিয়ে করা এ গবেষণায় ব্রিস্টলের বিজ্ঞানীরা ডিমের অভ্যন্তরে ঝিল্লির ভিতর ভ্রুণ বিকশিত হয় এমন অ্যামনিওট (পাখি, সরিসৃপ, উভচর)  প্রাণীদের টিকে থাকার সফলতার পেছনে কঠোর আবরণযুক্ত ডিমের কৃতিত্ব আছে, এ প্রচলিত ধারণাকে চ্যালেঞ্জ করেন। ‘অ্যামনিওটিক ডিম এখনকার উভচরদের অ্যামনিওটিক নয় এমন ডিমের তুলনায়   একেবারেই আলাদা। অ্যামনিওটিক নয় ডিমে খোসা ও বহিরাবরণের ঝিল্লির অভাব রয়েছে। অন্যদিকে অ্যামনিওটিক ডিমে অ্যামনিওন, করিয়ন ও অ্যালানটইসসহ ভ্রুণের ঝিল্লির বহর থাকে। থাকে বহিস্থ খোসা, যেটি শক্ত হতে পারে, নরমও হতে পারে,’ বলা হয়েছে গবেষণায়। -এনডিটিভি

 ব্রিস্টল বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব আর্থ সায়েন্সের নেতৃত্বাধীন এ গবেষণায় বিজ্ঞানীরা ৫১টি জীবাশ্ম প্রজাতি ও ২৯টি জীবন্ত প্রজাতিকে নিয়ে কাজ করেছেন, যাদের মধ্যে শক্ত বা নরম খোসার ডিম পাড়া প্রাণী যেমন আছে, তেমনি আছে বাচ্চা প্রসব করে এমন প্রাণীও। গবেষণায় উভচরসহ অ্যামনিওটের সবগুলো শাখার প্রাণীদের মধ্যেই দেহের ভিতর দীর্ঘ সময় ধরে ভ্রুণ ধরে রাখার লক্ষণ দেখা গেছে। শক্ত খোসার ডিমকে সবসময়ই বিবর্তনের অন্যতম সেরা উদ্ভাবন হিসেবে দেখা হলেও বিজ্ঞানীদের নতুন এ গবেষণা বলছে, বর্ধিত সময় ধরে ভ্রুণ ধরে রাখাই এ প্রজাতির প্রাণীদের চূড়ান্ত সুরক্ষা দিয়েছে।

গবেষণায় আরও বলা হয়েছে, অনেক বছর আগে মুরগি ডিম পাড়ত না। তারাও মানুষের মতো সন্তান প্রসব করত। বিবর্তনের ফলেই পাখিরা ডিম পাড়তে শুরু করে।

সর্বশেষ খবর