সোমবার, ১৯ জুন, ২০২৩ ০০:০০ টা
ব্লিঙ্কেনের বেইজিং সফর

চীন-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক কি জোড়া লাগবে

চীন-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক কি জোড়া লাগবে

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন দুই দিনের সফরে চীনে পৌঁছেছেন। প্রায় চার মাস আগে তার এই সফর হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু গুপ্তচর বেলুন পাঠানো নিয়ে চীন ও মার্কিন দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক একেবারে তলানিতে এসে ঠেকে। তবে আপাতত সেই তিক্ততা ভুলে চীন সফরে গেলেন ব্লিঙ্কেন। যদিও এই সফরে কতখানি লাভ হবে তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে কূটনৈতিক মহলে।

যুক্তরাষ্ট্র ও চীন-সাম্প্রতিক অতীতে একাধিকবার সংঘাতে জড়িয়েছে। প্রশান্ত মহাসাগরে চীনের প্রভাববিস্তারের জেরে আঞ্চলিক স্থিতাবস্থা বিঘিœত হচ্ছে- সেই দাবিতে সুর চড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তার পাশাপাশি ভারতের সঙ্গেও দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও মজবুত করতে মার্কিন প্রশাসন খুবই আগ্রহী। তার কারণ- আঞ্চলিক ক্ষেত্রে চীনের একাধিপত্য রুখতে সক্ষম ভারত। সবমিলিয়ে, যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে তিক্ততা কমার আপাতত কোনো লক্ষণ নেই।

গতকাল বেইজিংয়ে পৌঁছানোর পরই ব্লিঙ্কেন চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী চিন গাংয়ের সঙ্গে করমর্দন করেন। বিবিসির একজন সংবাদদাতা, যিনি আমেরিকান প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সফর করছেন, তিনি তাদের এই করমর্দনকে ‘ব্যবসায়ীদের মতো’ বলে বর্ণনা করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রে বাইডেন সরকার ক্ষমতায় আসার পর        ব্লিঙ্কেনই সবচেয়ে সিনিয়র নেতা যিনি চীন সফর করছেন। মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, এই সফরের তাৎক্ষণিক লক্ষ্য হলো দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক স্থিতিশীল করা। এ ছাড়া এই দুই নেতার আলোচনার সম্ভাব্য বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছে ইউক্রেনের যুদ্ধ, উন্নত কম্পিউটার প্রযুক্তি নিয়ে বাণিজ্য বিরোধ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ফেন্টানিল মাদকের মহামারি এবং মানবাধিকার প্রশ্নে চীনের আচরণ।

চীনা কর্মকর্তারা গতকাল মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে দিয়াওইউতাই স্টেট গেস্ট হাউসে অভ্যর্থনা জানান। এটি একটি বিলাসবহুল ভবন যেখানে সাধারণত সফরকারী   বিশিষ্ট ব্যক্তিদের থাকতে দেওয়া হয়। এ দুজন তাদের নিজ নিজ পতাকার সামনে দাঁড়িয়ে করমর্দন করেন, এরপর লম্বা টেবিলে বসে দুই দেশের প্রতিনিধিরা আলোচনা শুরু করেন। মার্কিন কর্মকর্তারা ব্লিঙ্কেনের এই সফর থেকে সাফল্যের প্রত্যাশা খাটো করে দেখাচ্ছেন। এবং উভয় পক্ষই স্পষ্ট করে বলেছে যে তারা কোনো বড় অগ্রগতির আশা করছেন না।

সর্বশেষ খবর