প্রায় চার দশক পর ইতালির ফিরিয়ে দেওয়া একটি পাথরের ফলকের প্রদর্শনী আয়োজন করেছে ইরাক। খবর বিবিসি।
ফলকটিজুড়ে ‘কিউনিফর্ম’ লিপি খোদাই করা আছে। এটি প্রাচীন ব্যাবিলনীয় বর্ণমালায় মাটির ওপর লেখার একটি পদ্ধতি। গত সপ্তাহে ইতালি কর্তৃপক্ষ বোলোগনা নগরীতে ইরাকের প্রেসিডেন্ট আবদুল লতিফ রশিদের কাছে পাথরের ওই ফলকটি হস্তান্তর করেছে। ফলকটি কোথায় পাওয়া গেছে এবং কীভাবে সেটি ইতালিতে গিয়ে পৌঁছেছে যে বিষয়ে পরিষ্কার কোনো তথ্য নেই। ১৯৮০-এর দশকে ইতালির পুলিশ পাথরের ওই ফলকটি জব্দ করে।
ইরাকের সাংস্কৃতিকমন্ত্রী আহমেদ বাদরানি বলেন, খুব সম্ভবত মসুল ড্যামে প্রত্নতাত্ত্বিক খননের সময় এটি পাওয়া গেছে। মসুল ড্যাম ব্যাবিলনীয় আমলে নির্মিত হয়েছিল।ইরাককে প্রায়শই ‘ক্রেইডেল অব সিভিলাইজেশন’ বা সভ্যতার সূতিকাগার বলা হয়। বিশ্বের মধ্যে ইরাকেই প্রথম লেখার প্রচলন শুরু হয়। অষ্টম শতাব্দীর শেষ ভাগে ইরাকের বায়ত আল-হিকমাহ (জ্ঞানের ঘর) ছিল বিজ্ঞান, শিল্প, গণিত, চিকিৎসা এবং দর্শনের বইয়ের বৃহত্তম গ্রন্থাগার। ২০ বছর আগে ইরাকে যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন বাহিনীর আগ্রাসনের পর দেশটিতে পুরাকীর্তি লুটপাটের ঘটনা অনেক বেড়ে যায়।
ইরাকের প্রেসিডেন্ট তার দেশ থেকে বিদেশ পাচার হয়ে যাওয়া ঐতিহাসিক সব প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য কাজ করার ঘোষণা দিয়েছেন। সেই সঙ্গে তিনি ইতালির সহযোগিতাপূর্ণ আচরণের প্রশংসাও করেছেন।