বৃহস্পতিবার, ২২ জুন, ২০২৩ ০০:০০ টা

ফিলিস্তিনি ঘরবাড়ি ও জলপাই বাগানে আগুন দিয়েছে ইসরায়েল

সম্প্রতি চার ইসরায়েলি হত্যার শিকার হয়েছেন। আর এই হত্যাকান্ডের প্রতিশোধ নিতে ইহুদি বসতি স্থাপনকারীরা অধিকৃত পশ্চিম তীরের কয়েকটি ফিলিস্তিনি শহর ও গ্রামে বাসিন্দাদের ওপর হামলা চালিয়েছে এবং তাদের জলপাই বাগান ও গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। অথচ চলতি বছরের শুরু থেকে অধিকৃত পশ্চিম তীর, পূর্ব জেরুজালেম এবং গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনী বা ইহুদি বসতি স্থাপনকারীদের হাতে ১৬০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। কিন্তু কোনো ইসরায়েলি হত্যার শিকার হলেই তার চেয়ে কয়েকগুণ বেশি ফিলিস্তিনি হত্যা করা হয়। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দুজন ফিলিস্তিনি বন্দুকধারী অধিকৃত পশ্চিম তীরের একটি পেট্রল পাম্পে ইসরায়েলিদের ওপর গুলি চালানোর কয়েক ঘণ্টা পর প্রায় ১০০ ইহুদি বসতি স্থাপনকারী ফিলিস্তিনি শহর হুওয়ারাতে তাণ্ডব চালায় বলে জানা গেছে। এ শহরেই গত ফেব্রুয়ারি মাসে দুই ইসরায়েলি ভাইকে হত্যার পর বসতি স্থাপনকারীরা বড় ধরনের প্রতিশোধমূলক আক্রমণ চালিয়েছিল। এদিকে ফিলিস্তিনের সশস্ত্র মুক্তি আন্দোলনের দল হামাস এই হত্যাকান্ডের ব্যাপারে বলছেন, জেনিন শহরে ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানের জবাবে এ হামলা চালানো হয়েছে। এদিকে ইসরায়েলি নাগরিক হত্যার কয়েক ঘণ্টা পর ইহুদি বসতি স্থাপনকারীরা কাছাকাছি কয়েকটি ফিলিস্তিনি শহর ও গ্রামে আক্রমণ চালায়। তারা ইট-পাথর নিক্ষেপ করে এবং যানবাহন, সম্পত্তি এবং জলপাই বাগানে আগুন ধরিয়ে দেয়। নাবলুস অঞ্চলের এক ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা ঘাসান দাঘলাস বার্তা সংস্থা ওয়াফা নিউজ এজেন্সিকে জানিয়েছেন, ইহুদি বসতি স্থাপনকারীদের হামলায় মোট ১৪০টি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বা তাতে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। নিজেদের রক্ষা করতে গিয়ে ৩৪ ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিক রাবার বুলেট এবং টিয়ার-গ্যাসের আঘাতে আহত হয়েছে বলে তিনি বলেন। উল্লেখ্য, ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর অভিযান জোরদার হওয়ায় গত ১৫ মাসে পশ্চিম তীরে সহিংসতা বেড়ে গেছে।

আরেকটি শহর জেনিনে সোমবার একটি বড় ইসরায়েলি অভিযানের সময় আহত ১৫ বছরের এক কিশোরী গতকাল সকালে মারা গেছে। ওই অভিযানে এর আগে সাত ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। জানা গেছে, ওই ঘটনায় এক সশস্ত্র ব্যক্তি ঘটনাস্থলেই গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায়, অন্যজন একটি চুরি করা গাড়িতে চড়ে পালিয়ে যায় এবং পরে তুবাস শহরে ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে নিহত হয়।

 

 

সর্বশেষ খবর