টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে পর্যটকদের নিয়ে নিখোঁজ ডুবোজাহাজ টাইটানের এখনো সন্ধান মেলেনি। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সাবমার্সিবলটিতে এখন টিকে থাকার জন্য মাত্র ২৫ ঘণ্টার অক্সিজেন আছে। অর্থাৎ ভেতরে থাকা যাত্রীদের উদ্ধার করতে হলে এই সময়ের মধ্যেই করতে হবে। রবিবার ডুব দেওয়ার পৌনে দুই ঘণ্টার মাথায় এর সঙ্গে পানির ওপরে থাকা জাহাজ পোলার প্রিন্সের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়; তারপর থেকে উত্তর আটলান্টিকের বিশাল এলাকাজুড়ে তল্লাশি অভিযান চললেও এখন পর্যন্ত ডুবোযানটির খোঁজ মেলেনি। কানাডার কাছে আটলান্টিক মহাসাগরে পানির সাড়ে ১২ হাজার ফুট নিচে থাকা টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখাতে ওই পর্যটকবাহী ডুবোযান টাইটান যায়। পর্যটকবাহী ওই ডুবোযানে থাকা আরোহীদের মধ্যে আছেন ব্রিটিশ ধনকুবের, বিমান সংস্থা অ্যাকশন এভিয়েশনের চেয়ারম্যান হামিশ হার্ডিং। তিনি ২০১৯ সালের ‘ওয়ান মোর অরবিট’ ফ্লাইট মিশনেও ছিলেন; ওই মিশনে থাকা উড়োজাহাজটি দুই মেরুর উপর দিয়ে উড়ে দ্রুততম সময়ে পৃথিবী প্রদক্ষিণ করেছিল। টাইটানে আরও আছেন শাহজাদা দাউদ ও তার ছেলে সুলেমান। তাদের পরিবারও এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। পাকিস্তানের অন্যতম বৃহৎ কোম্পানি এংরো করপোরেশনের ভাইস চেয়ারম্যান শাহজাদা। সার, গাড়ি বানানো, জ্বালানি ও ডিজিটাল প্রযুক্তি খাতে এংরো করপোরেশনের ব্যাপক বিনিয়োগ রয়েছে। অন্যজন হলেন ৭৭ বছর বয়সী ফরাসি পর্যটক পল অঁরি নারজিল। ডুবোজাহাজটি খুঁজতে তিনটি সামরিক বিমানও পাঠিয়েছে পেন্টাগন।