সোমবার, ২৬ জুন, ২০২৩ ০০:০০ টা
আপসরফা করলেন ইয়েভগেনি

বিদ্রোহের পেছনে কি সিআইএ

হাফ ছেড়ে বাঁচলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন। এতদিন রুশ প্রেসিডেন্টের পক্ষে ইউক্রেনের সঙ্গে সম্মুখযুদ্ধ চালিয়েছে যে ওয়াগনার বাহিনী গত পরশু হঠাৎ বিদ্রোহ করে বসে তারা। বাহিনীর প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোজিন রাজধানী মস্কো অভিমুখে রওনা দেন। পরে পুতিনের প্রিয় বন্ধু বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কোর হস্তক্ষেপে বিদ্রোহ প্রত্যাহার করে। এতে আপাতত স্বস্তিতে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন কিন্তু রাশিয়ার ভাড়াটে সেনার এ বিদ্রোহের কথা আগেই জানত যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন সংবাদমাধ্যমগুলোর দাবি তেমনই। গণমাধ্যমগুলো বলছে, ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধের মাঝেই রাশিয়ায় যে চাঞ্চল্য তৈরি হতে চলেছে, তা জানতে পেরেছিল হোয়াইট হাউস। শুধু তাই নয়, জুনের মাঝেই নাকি প্রিগোজিনের ওয়াগনার বাহিনীর বিদ্রোহের কথা জানতে পেরেছিলেন সিআইএ কর্তারা। আর এখানেই উঠছে প্রশ্ন। এই বিদ্রোহের পেছনে কী রয়েছে মার্কিন উসকানি? যদিও মার্কিন গোয়েন্দাদের দাবি, বিদ্রোহের খবর কেবল যুক্তরাষ্ট্র জানত, তা-ই নয়। পুতিন নিজেও তা জানতেন। আসলে রাশিয়ার সেনা কর্মকর্তাদের হাত করার চেষ্টা করছে সিআইএ, এ দাবি আজকের নয়। বহু সূত্রের দাবি, বিশেষত অলিগার্কদের (রুশ ধনাঢ্য ব্যক্তি) একাংশের সঙ্গে সিআইএর কালো টাকার লেনদেনের কথা জানা গেছে। এমনকি পুতিনবিরোধী নেতা নোভালনির দুর্নীতি দমন শাখাকেও টাকা জোগাত সিআইএ, এ দাবিও রয়েছে।

জানা গেছে, পুতিনের সঙ্গে প্রিগোজিনের মন কষাকষি শুরু হতেই তাকে টোপ দেওয়া শুরু করে আমেরিকা। আর রুশ সেনার দুর্নীতিতে যুক্ত থাকার অভিযোগ বারবারই উঠেছে। ইউক্রেন যুদ্ধের আগে মার্কিন সাঁজোয়া গাড়ি থেকে শুরু করে নানা যুদ্ধাস্ত্রের অংশ রুশ সেনা কর্মকর্তারাই বেচে দিচ্ছেন, এ দাবি উঠেছিল নানা সূত্র থেকে। সেসব হিসেব মিলিয়ে দেখেই এ সেনা অভ্যুত্থানের পেছনে সিআইএর হাত দেখছে বিশ্লেষক মহলের একাংশ।

উল্লেখ্য, শনিবার সোশ্যাল মিডিয়া টেলিগ্রামে ওয়াগনার বাহিনীর প্রধান প্রিগোজিন হুঙ্কার দেন, ‘আনুষ্ঠানিকভাবে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়ে গিয়েছে।’ এর পরই ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্কের রেশ। যদিও শেষ পর্যন্ত প্রিগোজিন জানিয়ে দেন, তিনি মস্কো অভিযান স্থগিত রেখেছেন। আপাতত বেলারুশে চলে যাচ্ছে তার বাহিনী।

ইয়েভগেনিকে কি ক্ষমা করবেন পুতিন : রাশিয়ার রাজনৈতিক মহলের প্রবাদ- রুশ প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন বিশ্বাসঘাতকদের ক্ষমা করেন না! ইয়েভগেনিকেও তাহলে ক্ষমা করবেন না? অন্তত তেমনই অনুমান সংশ্লিষ্ট মহলের। বিদ্রোহের জন্য তার বিরুদ্ধে যেসব ফৌজদারি অভিযোগ আনা হয়েছে, তা অবিলম্বে প্রত্যাহার করা হবে বলে জানিয়েছে রুশ প্রশাসন। ক্রেমলিনেরই খবর যে, প্রিগোজিনকে বেলারুশে যেতে বলেছেন স্বয়ং ভøাদিমির পুতিন। তবে খবর, ভাগনারপ্রধান তার চোখে একজন বিশ্বাসঘাতকই এবং এ সূত্রেই সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক মহল মনে করছে, পুতিন কখনোই একজন বিশ্বাসঘাতককে ক্ষমা করবেন না!

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর