সোমবার, ২৬ জুন, ২০২৩ ০০:০০ টা

হাতের মুঠোয় মহাবিশ্বের রহস্য!

হাতের মুঠোয় মহাবিশ্বের রহস্য!

আর সপ্তাহখানেক পর অর্থাৎ ১ জুলাই মহাকাশে পাঠানো হবে ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির স্পেস টেলিস্কোপ ‘ইউক্লিড’কে। এ টেলিস্কোপ নজরদারি চালাবে ১০০ কোটি ছায়াপথের ওপর। খুঁজে বের করতে চেষ্টা করবে মহাশূন্যের সবচেয়ে বড় রহস্যকে। কী সেই রহস্য? সেই রহস্যের নাম ডার্ক ম্যাটার ও ডার্ক এনার্জি। যা জানতে পারলে মহাশূন্যের বহু বিস্ময়ের হদিশ পাওয়া সম্ভব হবে। স্বাভাবিকভাবেই এ উৎক্ষেপণকে কেন্দ্র করে উত্তেজিত বিজ্ঞানী মহল।

আকাশের এক-তৃতীয়াংশজুড়ে ডার্ক ম্যাটারের সন্ধানে তল্লাশি চালাবে ইউক্লিড। সেই সঙ্গে জানার চেষ্টা করবে সুদূর থেকে সুদূরতর অতীতে, যখন আমাদের এই ব্রহ্মান্ডের বয়স আজকের এক-চতুর্থাংশ। কাজটা কঠিন। তাই প্রাথমিকভাবে ইউক্লিড যত তথ্য সংগ্রহ করবে তাকে একত্রিত করা হবে। মহাকাশবিজ্ঞানীদের আশা, সেখান থেকেই পরের ধাপের দিকে এগনো যাবে। আসলে এ জটিল রহস্যকে সমাধান করতে গেলে ধাপে ধাপে এগনোই প্রয়োজন।

ডার্ক ম্যাটার ও এনার্জি কী : আসলে একসময় মহাবিশ্ব একটি বিন্দুতে কেন্দ্রীভূত ছিল। যাকে ‘কসমিক এগ’ও বলা হয়। প্রায় ১৩৮০ কোটি বছর আগে ‘বিগ ব্যাং’ তথা বিরাট বিস্ফোরণের পর বিশ্বের জন্ম। তারপর থেকে তা ক্রমাগত এগিয়ে চলেছে। সম্প্রসারিত হয়ে চলেছে। কিন্তু আমরা যা দেখতে পাই, সে জীব হোক বা জড়, তা মহাবিশ্বের মোট ভরের মাত্র ৫ শতাংশ। এই বাকি ৯৫ শতাংশই অদৃশ্য। একেই ডার্ক ম্যাটার বলে ধরা হয়। এদের সঙ্গে আলোর কোনো প্রতিক্রিয়া হয় না। তাই এদের খুঁজে পাওয়াই কঠিন। আর এই পদার্থদের চালিত করার শক্তিকে বলা হয় ডার্ক এনার্জি। এ শক্তি বা পদার্থ ঠিক কেমন তা আজও জানা যায়নি। ইউক্লিডের অনুসন্ধান শেষে কি ধরা পড়বে ডার্ক ম্যাটারের পরিচয়? আপাতত সেই অপেক্ষাতেই বিজ্ঞানীরা।

সর্বশেষ খবর