বুধবার, ২৮ জুন, ২০২৩ ০০:০০ টা

মোখায় ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্য বন্ধ করল মিয়ানমার জান্তা

মিয়ানমারে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় মোখায় ক্ষতিগ্রস্ত লাখ লাখ মানুষের পুনর্গঠন বন্ধ করে দিয়েছে দেশটির সেনাবাহিনী। ওই এলাকায় দাতব্য সংস্থাগুলোর প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। প্রতিক্রিয়ায় হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলেছে, এই পদক্ষেপ চরম আবহাওয়াজনিত ঘটনাকে মানবসৃষ্ট বিপর্যয়ে পরিণত করেছে। গত ১৪ মে রাতে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের উপকূলে আঘাত আনে ঘূর্ণিঝড় মোখা। ঝড়টি রাখাইনের বিস্তৃত অঞ্চলের ধ্বংসযজ্ঞ চালায়। নিহত হয় কয়েক শ’ মানুষ। কিছু পরিবারের বরাত দিয়ে বিবিসি জানায়, ঘূর্ণিঝড়ের এক মাস পর থেকে দুর্গতদের জন্য সাহায্য কমতে শুরু করেছে। বর্তমানে ওই এলাকায় টানা বৃষ্টি হচ্ছে। বাসিন্দারা পর্যাপ্ত পানি ও খাবারের অভাবে ভুগছেন।

জাতিসংঘের মানবিক দফতর জানিয়েছে, ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িগুলোর অংশ একটি অংশ মেরামত করা হয়েছে।

জান্তা সরকার ১৪৫ জন নিহতের কথা বললেও স্বঘোষিত জাতীয় ঐক্য সরকারের ধারণা এই সংখ্যা ৫০০ এর কাছাকাছি। রাখাইনের জাতিগত বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি বলেছে, ঝড়ে দুই হাজারেরও বেশি গ্রাম এবং দুই লাখ ৮০ হাজার ঘরবাড়ি ধ্বংস করেছে। মিয়ানমারের ৫৪ লাখ মানুষ ঘূর্ণিঝড় মোখার গতিপথে ছিল, তাদের মধ্যে প্রায় ৩২ লাখকে ‘সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ’ বিবেচনা করেছিল জাতিসংঘ। রাখাইন দেশটির অন্যতম দরিদ্র রাজ্য। এই অঞ্চলের রোহিঙ্গাদের বড় অংশের বাস। বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুসারে, ২০১৯ সালে এ রাজ্যের জনসংখ্যার প্রায় ৭৮ শতাংশ দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করত। মিয়ানমারের সেনা শাসক এই অঞ্চলে ত্রাণ গোষ্ঠীকে নিষিদ্ধ করায় গত ৮ জুনের পর তাদের পক্ষে সাহায্য দেওয়া অসম্ভব হয়ে পড়ে। ক্ষমতাসীনরা এই নিষেধাজ্ঞার কোনো ব্যাখ্যা দেয়নি। তবে রাখাইন সরকারের একজন মুখপাত্র স্থানীয় গণমাধ্যমকে বলেছেন, এনজিওগুলো সুষ্ঠুভাবে ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করেনি। তারা শুধু রোহিঙ্গাদের সাহায্য করতে আগ্রহী। এই অভিযোগের আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানায়নি সংস্থাগুলো। তবে রোহিঙ্গাদের সাহায্যের বিষয়টি নিষেধাজ্ঞায় ভূমিকা রাখতে পারে বলে বিবিসিকে জানান তারা। বিবিসি

সর্বশেষ খবর