শিরোনাম
রবিবার, ২ জুলাই, ২০২৩ ০০:০০ টা

মালিতে শান্তিরক্ষা মিশনের সমাপ্তি ওয়াগনারকে দুষছে যুক্তরাষ্ট্র

মালি থেকে ‘অবিলম্বে’ শান্তিরক্ষীদের সরিয়ে নিতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের কাছে আহ্বান জানিয়েছিলেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী

মালিতে শান্তিরক্ষা মিশনের সমাপ্তি ওয়াগনারকে দুষছে যুক্তরাষ্ট্র

মালিতে শান্তিরক্ষা মিশনে অংশগ্রহণকারী সৈনিকদের মরদেহ নিয়ে যাচ্ছেন সহকর্মীরা -রয়টার্স

পশ্চিম আফ্রিকার দেশ মালিতে প্রায় এক দশক ধরে চলা জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশন শেষ হলো। গত শুক্রবার (৩০ জুন) জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ভোটে সর্বসম্মতিক্রমে এমন ঘটনা ঘটে। মূলত দেশটির সামরিক জান্তার দাবিতে এমন পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হলো জাতিসংঘ। এ ঘটনায় রাশিয়ার ভাড়াটে আধাসামরিক বাহিনী ওয়াগনার গোষ্ঠীকে দায়ী করছে যুক্তরাষ্ট্র।

এ বিষয়ে জাতিসংঘের ১৫ সদস্যের নিরাপত্তা পরিষদে একটি খসড়া প্রস্তাব গৃহীত হয়। প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ‘শান্তিরক্ষীরা মালিতে কার্যক্রম বন্ধ করে সামরিক বাহিনীর কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করবে এবং সুশৃঙ্খলভাবে কর্মীদের প্রত্যাহার করবে। চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে এই প্রক্রিয়া শেষ করা হবে।

মালি থেকে ‘অবিলম্বে’ শান্তিরক্ষীদের সরিয়ে নিতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের কাছে আহ্বান জানিয়েছিলেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুলায়ের দিওপ। এর পরপরই বিষয়টি নিয়ে পদক্ষেপ নেওয়া শুরু করে জাতিসংঘ। তবে যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, মালির সামরিক জান্তার সঙ্গে হাত মিলিয়ে বিষয়টি ঘটাতে সাহায্য করেছে ওয়াগনার গোষ্ঠীর প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোজিন। মালি কর্তৃপক্ষ ২০২১ সাল থেকে ওয়াগনারকে প্রায় ২০০ মিলিয়ন ডলার দিয়েছে বলে দাবি হোয়াইট হাউসের। বিষয়টি নিয়ে মালির কর্মকর্তারা তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।

হোয়াইট হাউস মুখপাত্র জন কিরবি বলেন, ওয়াগনারের স্বার্থে শান্তিরক্ষীদের হটাতে সাহায্য করেছেন প্রিগোজিন। এ বিষয়ে মালির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সরাসরি ওয়াগনারের সঙ্গে জড়িত। তবে মালির এমন পদক্ষেপের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে রাশিয়া।

মালিতে জাতিসংঘের মিশনকে বলা হয় মিনুসমা। তুয়ারেগ বিদ্রোহের পর দেশকে স্থিতিশীল করার জন্য ২০১৩ সালের ২৫ এপ্রিল জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের রেজুলিউশন ২১০০ দ্বারা মিনুসমা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। মিশনটির সমাপ্তির মাধ্যমে প্রায় ১৩ হাজার শান্তিরক্ষী মালি ছাড়তে চলেছে। -রয়টার্স

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর