মঙ্গলবার, ৪ জুলাই, ২০২৩ ০০:০০ টা

ইরানে নারী সাংবাদিককে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড

ইরানে নারী সাংবাদিককে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড

ইরানের বিশিষ্ট একজন অধিকারকর্মী ও সাংবাদিক গোলরোখ ইরাইকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন দেশটির একটি আপিল আদালত। রবিবার তাঁর সমর্থকরা এ তথ্য জানান। ‘অবৈধ’ সমাবেশে অংশ নেওয়া এবং জাতীয় নিরাপত্তা লঙ্ঘনের দায়ে ইরাইকে গত এপ্রিলে প্রাথমিকভাবে সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এ রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিলের শুনানিতে তিনি অংশ নিতে অস্বীকৃতি জানান। অধিকার সংগঠনগুলোর ভাষ্য, ইরাই এ আদালতের ন্যায্যতা নেই বলে মনে করেন। ইরানে পুলিশি হেফাজতে কুর্দি তরুণী মাসা আমিনির মৃত্যুর প্রতিবাদে দেশজুড়ে চলা আন্দোলনের শুরুর দিকে গত সেপ্টেম্বরে ইরাইকে তাঁর বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। হিজাবনীতি ভঙ্গ করার অভিযোগে দেশটির নীতি পুলিশ মাসাকে আটক করেছিল। পুলিশি হেফাজতে ১৬ সেপ্টেম্বর মাসার মৃত্যু হয়। ইরাইয়ের নামে থাকা একটি টুইটার অ্যাকাউন্টে বলা হয়, ‘গোলরোখ ইরাই, যিনি ২৮০ দিন ধরে এভিন কারাগারে আছেন, তাঁকে তেহরান আদালত পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন।’ এ টুইটার অ্যাকাউন্টটি তাঁর সমর্থকরা চালান। পাথর ছুড়ে শাস্তি, কারাগারের অবস্থাসহ বিভিন্ন বিষয়ের বিরুদ্ধে প্রচার চালানোর জন্য বেশ পরিচিত ইরাই। তাঁর স্বামী আরেক অধিকারকর্মী আরাশ সাদেঘিও মাসা আমিনিকে ‘হত্যার’ প্রতিবাদ আন্দোলনের সময় গ্রেফতার হয়েছিলেন, তবে তিনি এখন মুক্ত। প্রতিবাদ আন্দোলন ঠেকাতে ইরানের ধরপাকড়ের সময় বেশ কিছু অধিকারকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে গত কয়েক মাসে বিক্ষোভের তীব্রতা কমে এলে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে এখনো বেশ কয়েকজন বিশিষ্ট নারী অধিকারকর্মী জেলে আছেন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন নার্গিস মোহাম্মদী, শ্রম অধিকারকর্মী সেপিদেহ ঘোলিয়ান এবং পরিবেশবাদী প্রচারক নিলোফার বায়ানি ও সেপিদেহ কাশানি। ইরাই ছাড়াও আরও দুই নারী সাংবাদিক নিলুফার হামেদি ও ইলাহে মোহাম্মদী সেপ্টেম্বর থেকে কারাগারে বন্দি। জাতীয় নিরাপত্তা লঙ্ঘনের অভিযোগে তেহরানে তাঁদের বিচার চলছে।

সর্বশেষ খবর