শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ৬ জুলাই, ২০২৩ ০০:০০ টা

তিন দেশের অস্থিরতা কুকি-চিন ও মিজোদের যেভাবে ফের কাছাকাছি আনছে

১৮৯২ সালের জানুয়ারি মাসে তদানীন্তন ব্রিটিশ ইন্ডিয়ার রাজধানী কলকাতায় বাংলার তখনকার ছোটলাটের সভাপতিত্বে একটি গুরুত্বপূর্ণ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছিল। আগামী দিনে বাংলা, আসাম আর বার্মার সীমান্তঘেঁষা চিন-লুশাই হিলসের প্রশাসনিক রূপরেখা কী হবে, সেটা স্থির করাই ছিল ওই বৈঠকের প্রধান উদ্দেশ্য।

ওই অঞ্চলে বসবাসকারী কুকি-চিন-লুশাই (বা কুকি-চিন-মিজো বলেও যাদের অনেকে চেনেন) নৃগোষ্ঠীর সঙ্গে ব্রিটিশদের ততদিনে অন্তত পাঁচটি যুদ্ধ হয়ে গেছে, আরও তিনটি হওয়ার অপেক্ষায়।

কলকাতার সেই ‘চিন-লুশাই কনফারেন্সে’র পরই স্থির হয়েছিল, এ জাতিগোষ্ঠীর বাস যে বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে তা তিনটি ভাগে ভাগ করে দেওয়া হবে- চিন হিলস বার্মার, লুশাই হিলসের দক্ষিণভাগ বাংলার আর উত্তরভাগ আসামের নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

ফলে যে কুকি, চিন ও লুশাইরা নিজেদের একই এথনিসিটি, একই সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের লোক বলে মনে করেন- তাদের মধ্যে সীমান্তের বিভেদ তৈরি হয়ে গিয়েছিল সেই সোয়াশো বছরেরও বেশি আগে।

সর্বশেষ খবর