শুক্রবার, ১৪ জুলাই, ২০২৩ ০০:০০ টা

ন্যাটো সম্মেলনে প্রত্যাশা পূরণ হলো না জেলেনস্কির

ন্যাটো সম্মেলনে প্রত্যাশা পূরণ হলো না জেলেনস্কির

লিথুয়ানিয়ার ভিলনিয়াসে এবারের ন্যাটো সম্মেলনে প্রবল উচ্চাশা নিয়ে এসেছিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। দুই দিনের এই সম্মেলন থেকে তিনি রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ শেষেই ন্যাটোতে যোগ দিতে পারবেন এমন আশ্বাস নিয়ে যেতে চেয়েছিলেন।

বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী সামরিক জোটের সদস্যপদ তিনি চাইছেন মূলত তার দেশের জনগণকে আশার আলো দেখাতে, রুশ বাহিনী আর কখনো ইউক্রেনে আক্রমণ করার সাহস দেখাবে না- এমন পরিস্থিতি তৈরি করতে। কিন্তু তা হয়নি। উল্টো তাকে বলা হচ্ছিল, ইউক্রেনকে তখনই সদস্যপদের আমন্ত্রণ দেওয়া হবে, যখন ‘মিত্ররা একমত হবে এবং সব শর্ত পূরণ হবে’। অর্থাৎ, কোনো আশ্বাস নয়। ফলে অনেকটা বিফল মনোরথ হয়েই ফিরতে হয়েছে তাকে। অবশ্য শীর্ষ বৈঠকের শুরুতেই তিনি কড়া ভাষায় তার উষ্মা প্রকাশ করেন। বলেছিলেন ন্যাটোর নেতারা যে একটা সময়সূচি দিতেও রাজি নন সেটা নেহায়েতই ‘অযৌক্তিক’। তিনি বলেন, শর্তগুলোও ‘ধোঁয়াটে’। এ ছাড়াও জেলেনস্কি চরম ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন এ কারণে যে রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ পরবর্তী আলোচনায় ন্যাটো যে কোনোভাবে ইউক্রেনের সদস্যপদ পাওয়ার বিষয়টি দাবার ঘুঁটি হিসেবে ব্যবহার করতে চাইবে। অবশ্য প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি ন্যাটোর নেতাদের সঙ্গে মুখোমুখি কথা বলার পর কূটনৈতিক ক্ষোভের ঝড় কিছুটা প্রশমিত হয়েছে। সম্মেলনের শেষ দিন তারা একরকম জেলেনস্কিকে আশ্বস্ত করতে পেরেছেন এই বলে যে পরিস্থিতি বদলেছে এবং ইউক্রেন ন্যাটোতে যোগ দেবে।

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক বলেছেন, ইউক্রেন ন্যাটো জোটেই আছে। ন্যাটোর মহাসচিব জেন্স স্টলটেনবার্গ বলেছেন বুধবার তারা সমকক্ষ হিসেবেই বৈঠক করেছেন, কিন্তু জোটের মিত্র সদস্য হিসেবে তারা বৈঠক করবেন ভবিষ্যতে। এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জেলেনস্কিকে বলেছেন সদস্যপদ ভবিষ্যতে আসবে। সম্মেলনের আগে জেলেনস্কি যে ধরনের মন্তব্য করেছিলেন তার পরিপ্রেক্ষিতে একটা নেতিবাচক বা অসঙ্গতিপূর্ণ মন্তব্য এসেছে ব্রিটিশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেন ওয়ালেসের কাছ থেকে। সাংবাদিকদের ব্রিফ করার সময় তিনি ইউক্রেনের উদ্দেশে একটি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন ইউক্রেনকে যে সমর্থন ও সহযোগিতা ইতোমধ্যেই দেওয়া হয়েছে তার জন্য দেশটির আরও কৃতজ্ঞতা দেখানো উচিত। তিনি বলতে চেয়েছেন এটা কূটনৈতিক শিষ্টাচারের বাইরে কোনোরকম উসকানিমূলক মন্তব্য নয়, বরং সমর্থক একটা মিত্র দেশের কাছ থেকে বন্ধুসুলভ পরামর্শ। তিনি মূলত বলতে চেয়েছেন ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা দেওয়ার ব্যাপারে দেশগুলোর ওপর- বিশেষ করে আমেরিকার ওপর- যে কতটা রাজনৈতিক চাপ আছে সেটা ইউক্রেনের বোঝা উচিত।

সর্বশেষ খবর