সোমবার, ১৭ জুলাই, ২০২৩ ০০:০০ টা

রেকর্ড তাপপ্রবাহ যুক্তরাষ্ট্রে, রেড অ্যালার্ট ইউরোপে

ক্যালিফোর্নিয়া থেকে টেক্সাস পর্যন্ত ভয়ানক তাপপ্রবাহের পূর্বাভাস দিয়েছে মার্কিন আবহাওয়া দফতর। ইউএস ন্যাশনাল ওয়েদার সার্ভিস ইতোমধ্যেই এ বিষয়ে সতর্ক করে দিয়েছে। অত্যন্ত উষ্ণ এবং বিপজ্জনক সপ্তাহ সম্পর্কে সতর্ক করে দিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিম অংশে সর্বোচ্চ উষ্ণতা স্বাভাবিকের চেয়ে ৫ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত বেশি হওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। একাধিক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম জানিয়েছে শনিবার যুক্তরাষ্ট্রে রেকর্ড তাপমাত্রার শিকার হয়েছেন কোটি-কোটি মানুষ। শুধু তাই নয়, ইউরোপ এবং জাপানেও রেকর্ড তাপমাত্রার পূর্বাভাস মিলেছে।

এদিকে ইউরোপের দক্ষিণাঞ্চলীয় দেশগুলো আগামী সপ্তাহেও প্রচন্ড দাবদাহে হাঁসফাঁস করতে পারে এমন আশঙ্কা দেখা দিয়েছে, কারণ তাপমাত্রা কমার কোনো লক্ষণ সেখানে দেখা যাচ্ছে না। ইতালি, স্পেন এবং গ্রিস এর মধ্যেই কয়েকদিন ধরে উচ্চ তাপমাত্রার মধ্য দিয়েই যাচ্ছে। ইতালির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় রোম ও ফ্লোরেন্সসহ ১৬টি শহরে রেড এলার্ট জারি করেছে, কারণ আগামী সপ্তাহে দেশটির সারদিনিয়াতে তাপমাত্রা ৪৮ ডিগ্রিতে পৌঁছাতে পারে বলে বলছে দেশটির গণমাধ্যম।

যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনায় এ অতি উষ্ণতার সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। তাপপ্রবাহের জেরে সেখানকার জনজীবন কার্যত বিপর্যস্ত হয়ে গেছে। অ্যারিজোনার রাজধানী ফিনিক্সে টানা ১৬ দিন ধরে তাপমাত্র ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে রয়েছে। তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। ক্যালিফোর্নিয়ার ডেথ ভ্যালি, পৃথিবীর উষ্ণতম স্থানগুলোর মধ্যে অন্যতম। আজ সেখানে তাপপ্রবাহের জেরে তাপমাত্রা সব রেকর্ড ভেঙে দেবে বলে মনে করা হচ্ছে। পারদ সম্ভবত ৫৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁয়ে ফেলতে পারে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।

ইতালিয়ান আবহাওয়াবিদ ও জলবায়ু বিশেষজ্ঞ গিলিও বেট্টি বিবিসিকে জানান, ‘তাপমাত্রা ১৯ থেকে ২৩ জুলাইয়ের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছাবে। এটা শুধু ইতালিতেই নয়, গ্রিস, তুরস্কসহ বলকান অঞ্চলে। বেশ কিছু জায়গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রার আগের রেকর্ড ভেঙে যেতে পারে।’

ইতালি সরকার শনিবার যেসব এলাকায় রেড এলার্ট থাকবে সেখানকার লোকজনকে বেলা ১১টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সরাসরি সূর্যের আলোর সংস্পর্শে না যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে। রোমের একজন ট্যুর গাইড ফেলিসিটি হিন্টন বিবিসিকে জানান, তীব্র দাবদাহের সঙ্গে মানুষের ভিড়ের কারণে শহর ভ্রমণ দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়েছে। অন্যদিকে কয়েকদিনে গ্রিসে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রিতে পৌঁছেছে।

আর স্পেনের ক্যানারি দ্বীপপুঞ্জে শনিবার বনে আগুন জ্বলতে দেখা গেছে। ইতোমধ্যে অন্তত ২ হাজার মানুষকে সেখান থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের ক্লাইমেট মনিটরিং সার্ভিসের তথ্য অনুযায়ী, এবারের জুন মাসটা ছিল এ যাবৎকালে ইউরোপের সবচেয়ে গরম মাস।

সর্বশেষ খবর