বুধবার, ২৬ জুলাই, ২০২৩ ০০:০০ টা

মরুভূমিতে পাওয়া জাহাজের ধ্বংসাবশেষ, রাশি রাশি রত্ন

মরুভূমিতে পাওয়া জাহাজের ধ্বংসাবশেষ, রাশি রাশি রত্ন

সম্প্রতি এক রহস্যময় জাহাজের হদিশ মিলেছে দক্ষিণ পশ্চিম আফ্রিকার নামিবিয়ায়। সেখানকার মরুভূমিতে হিরের খনির খোঁজ চালাচ্ছিল অভিযাত্রীদের একটি দল। ঘুরতে ঘুরতে হঠাৎ ওই পরিত্যক্ত জাহাজ। সেখানে গিয়ে রীতিমতো তাজ্জব বনে যান তারা। মরুভূমির বুকে পড়ে থাকা ভাঙাচোরা পরিত্যক্ত সেই জাহাজে মিলল রাশি রাশি রত্ন।

নামিবিয়া প্রশাসন সূত্রের খবর, ওই জাহাজ থেকে প্রায় ২ হাজার খাঁটি সোনার মুদ্রা উদ্ধার করা হয়। এ ছাড়া মেলে কয়েক হাজার কেজি তাম্র খ । জাহাজটির গায়ে একটি নেমপ্লেটও পায় অভিযাত্রীর দল। সেখানে জলযানটির নাম ‘বম জেসাস’ বলে উল্লেখ করা ছিল। জাহাজটি প্রায় ৫০০ বছরের প্রাচীন বলে অনুমান।

অভিযাত্রীদের থেকে খবর পেয়ে এর পর ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বিশেষজ্ঞদের দল। পরিত্যক্ত জাহাজটিকে খুঁটিয়ে পরীক্ষা করেন তারা। পরে জাহাজটিকে নিয়ে তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করেন সাউদার্ন আফ্রিকা ইনস্টিটিউট অব মেরিটাইম আর্কিওলজিক্যাল রিসার্চের প্রধান তথা প্রত্নতত্ত্ববিদ নেলি।

 

বিশেষজ্ঞদের দাবি, ১৫৩৩-এর ৭ মার্চ পর্তুগালের রাজধানী লিসবন থেকে ‘বম জেসাস’ জাহাজটি রওনা হয়েছিল। ট্রাঙ্কের মতো দেখতে বড় বড় বাক্সে মোহর ও তাম্র খ গুলোকে নিয়ে ভারতের বন্দরের দিকে যাচ্ছিল ওই জাহাজ। কিন্তু মাঝপথে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মুখে পড়ে ডুবে যায় ‘বম জেসাস’।

এ প্রসঙ্গে প্রত্নতাত্ত্বিক নেলি বলেন, ‘পশ্চিম ভারতের কোনো বন্দরে জাহাজটির পৌঁছানোর কথা ছিল। ওই সময় আফ্রিকার দক্ষিণ অংশ ছিল জাহাজ যাতায়াতের সাধারণ পথ। মনে রাখতে হবে বম জেসাস যখন লিসবনের বন্দর ছেড়েছে, তখন দিল্লিতে মুঘল যুগ শুরু হয়ে গেছে।’ উল্লেখ্য, জাহাজটির মধ্যে একটি মূর্তি পাওয়া গেছে, যা ৫০০ বছরের প্রাচীন বলে অনুমান নেলির।

কিন্তু কীভাবে মরুভূমির বুকে এসে পড়ল সুবিশাল ওই জাহাজ? গবেষকদের কথায়, নামিবিয়ার উপকূলে প্রবল ঝড়ের মুখে পড়ে ‘বম জেসাস’। তখন কোনো পাথরে ধাক্কা খেয়ে ছিটকে মরুভূমির মধ্যে চলে আসে ওই জলযান। তবে বর্তমানে এই জাহাজটিকেই সাহারায় আবিষ্কৃত প্রাচীনতম ও সবচেয়ে মূল্যবান জাহাজের ধ্বংসাবশেষ বলে দাবি করেছেন গবেষকরা।

সর্বশেষ খবর