শিরোনাম
বুধবার, ৯ আগস্ট, ২০২৩ ০০:০০ টা

অনাস্থা বিতর্কে রাহুল-মোদি

অনাস্থা বিতর্কে রাহুল-মোদি

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সরকারের বিরুদ্ধে লোকসভায় বিরোধী দলগুলোর আনা অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে বিতর্ক চলছে। কংগ্রেস পার্টির এমপি গৌরব গগৈ এ বিতর্কের সূচনা করেন। বিরোধী দলগুলোর পক্ষ থেকে তিনিই ২৬ জুলাই প্রস্তাবটি এনেছিলেন। প্রথমে ঠিক ছিল, বিরোধীদের পক্ষে রাহুল গান্ধী অনাস্থা বিতর্ক শুরু করবেন কিন্তু শেষ মুহূর্তে কৌশল বদল করে বিরোধীরা। রাহুল গান্ধী গতকাল বলেননি। আগামীকাল বলবেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। সেদিন রাহুল বলতে পারেন। তবে ভারতের পার্লামেন্টে ক্ষমতাসীন বিজেপি ও এর মিত্রদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকায় এ ভোটাভুটিতে মোদি সরকার হারবে না বলেই ধরে নেওয়া যায়। কিন্তু বিরোধী নেতারা বলছেন, এ বিতর্ক মণিপুর রাজ্যে চলমান জাতিগত দাঙ্গা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদিকে মুখ খুলতে বাধ্য করবে। গতকাল লোকসভায় নির্ধারিত সময়ই শুরু হয়েছিল অনাস্থা প্রস্তাব বিতর্ক। অনাস্থা প্রস্তাবের আগের দিনই রাহুল গান্ধী সংসদে ফিরে আসেন। এর আগে বিজেপি সংসদীয় দলের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, শেষ বলে তিনি ছক্কা মারবেন। অনাস্থা বিতর্কের জবাব দেবেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানেই বিরোধীদের যুক্তি উড়িয়ে পাল্টা আক্রমণ করবেন তিনি। আর অনাস্থা বিতর্ক থেকে এভাবেই রাজনৈতিক লাভ তুলবে বিজেপি। সূত্র জানাচ্ছে, সেজন্যই রাহুলকে প্রথম দিনের জন্য রাখতে চাননি কংগ্রেস নেতারা। তারা চান, রাহুলও বৃহস্পতিবার বলুন। তাহলে মোদি বনাম রাহুল দ্বৈরথ দেখা যাবে।

কংগ্রেসের প্রশ্ন : গতকাল গৌরব গগৈই বিতর্ক শুরু করে বলেন, তিনি প্রধানমন্ত্রী মোদিকে তিনটি প্রশ্ন করতে চান। রাহুল গান্ধী, অমিত শাহ মণিপুর গেছেন, প্রধানমন্ত্রী কেন যাননি? প্রধানমন্ত্রী কেন ৮০ দিন পর মণিপুর নিয়ে মাত্র ৩০ সেকেন্ড বলেছেন? এত সহিংসতার পরেও প্রধানমন্ত্রী কেন মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রীকে সরাচ্ছেন না?

বিজেপির আক্রমণ : বিজেপির পক্ষ থেকে প্রথমে বলেন নিশিকান্ত দুবে। তার নিশানায় ছিলেন মূলত রাহুল ও সোনিয়া। নিশিকান্ত বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্ট রাহুলের মামলা নিয়ে কোনো রায় দেয়নি। স্থগিতাদেশ দিয়েছে মাত্র।’

তৃণমূলের বক্তব্য : তৃণমূলের তরফে বলেন সৌগত রায়। তিনি বলেন, ‘মণিপুরে যে ভিডিও সামনে এসেছে, তা কোনো সভ্য দেশে হতে পারে? অথচ, নিশিকান্ত মণিপুর নিয়ে কোনো কথাই বললেন না।’

সর্বশেষ খবর