শিরোনাম
বুধবার, ৯ আগস্ট, ২০২৩ ০০:০০ টা

চরম জলবায়ু বিপর্যয়ের কবলে ইউরোপ

ঠান্ডা মহাদেশ বলতে ইউরোপের একটা খ্যাতি ছিল। তবে সেই দিনের সম্ভবত ছন্দপতন ঘটেছে। চলতি বছরের গ্রীষ্মে ইউরোপের বিভিন্ন অংশে প্রথমে রেকর্ড মাত্রায় উষ্ণতা দেখা গেছে। শুধু তাই নয়, তাপপ্রবাহের পাশাপাশি প্রবল বৃষ্টি, বন্যা ও ভূমিধসের কারণেও সাধারণ মানুষের দুর্দশা বেড়ে চলেছে। বর্তমানে স্লোভেনিয়া, অস্ট্রিয়া ও ক্রোয়েশিয়া চরম আবহাওয়ার শিকার হচ্ছে। স্লোভেনিয়ায় বিধ্বংসী বন্যার কারণে দেশের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আন্তর্জাতিক ত্রাণ সহায়তার মাধ্যমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। ১৯৯১ সালে স্বাধীনতার পর থেকে দেশটি এমন বিপর্যয় দেখেনি। প্রধানমন্ত্রী রবার্ট গোলোবের মতে, ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা ৫ কোটি ইউরো ছাড়িয়ে গেছে।

ক্রোয়েশিয়ার বেশকিছু অংশ এখনো জলমগ্ন রয়েছে। দেশের বিভিন্ন অংশে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। তবে আবহাওয়ায় কিছুটা উন্নতি হওয়ায় স্লোভেনিয়া, ক্রোয়েশিয়া ও অস্ট্রিয়ায় পানির স্তর সোমবার কমে গেছে। চেক প্রজাতন্ত্রেও বৃষ্টিপাত কিছুটা কমলেও প্রতিবেশী স্লোভাকিয়ায় গতকাল মাত্রাতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে বন্যার আশঙ্কা দেখা দিচ্ছে। গত সপ্তাহে প্রবল ঝড়বৃষ্টির কারণে পোল্যান্ডে বেশকিছু বাড়িঘরে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এর মধ্যে গতকাল ‘হান্স’ নামে একটি ঝড়ের কারণে সুইডেন ও নরওয়ে প্রবল ঝড়বৃষ্টির কবলে পড়েছে। একই ঝড়ে এস্তোনিয়া ও লাটভিয়ায় অনেক বাড়িঘর বিদ্যুৎ সংযোগ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ইউরোপের মধ্য ও উত্তর অংশে ঝড়বৃষ্টি এবং বন্যার তা ব সত্ত্বেও দক্ষিণের অনেক অংশে তাপপ্রবাহ চলছে। স্পেনে চলতি মৌসুমে চতুর্থবার এমন তাপপ্রবাহ শুরু হয়েছে। গতকাল রাজধানী মাদ্রিদ ও আন্দালুসিয়া প্রদেশের এক অংশে ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল। ২০২৩ সালে ইউরোপের বিভিন্ন প্রান্তে চরম আবহাওয়া যে বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, অনেক বিজ্ঞানী এমনটা দাবি করছেন। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে আরও ঘনঘন এবং তীব্র মাত্রায় তাপপ্রবাহ বড় এলাকা গ্রাস করে ফেলছে। ফলে সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যের জন্যও ঝুঁকি বাড়ছে।

সর্বশেষ খবর