শিরোনাম
বুধবার, ৯ আগস্ট, ২০২৩ ০০:০০ টা

মিয়ানমারে গণহত্যা ও যুদ্ধাপরাধ বেড়েছে : জাতিসংঘ

জাতিসংঘের তদন্তকারীরা অভিযোগ করেছেন, মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী আরও বেশি এবং নির্লজ্জভাবে সে দেশে যুদ্ধাপরাধ ঘটাচ্ছে। যার মধ্যে রয়েছে গণহত্যা এবং বেসামরিক নাগরিকদের ওপর নির্বিচারে বোমাবর্ষণ। মিয়ানমার সরকারের বিরুদ্ধে সম্ভাব্য বিচারে ব্যবহারের জন্য যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের প্রমাণ সংগ্রহ করতে জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিল ২০১৮ সালে আইআইএমএম নামের ওই স্বাধীন তদন্ত কমিটি তৈরি করেছিল। তাদের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পুরো গ্রাম পুড়িয়ে ফেলা, বেসামরিক বাড়িঘরের ওপর ইচ্ছাকৃতভাবে বোমা হামলা এবং বেসামরিক ও আটক যোদ্ধাদের গণহত্যা চালানো হচ্ছে। জেনেভা থেকে বিবিসি সংবাদদাতা ইমোজেন ফুকস জানান, দায়ী ব্যক্তিদের বিচারের মুখোমুখি করতে সরকারের ব্যর্থতা প্রমাণ করছে যে মিয়ানমারের সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ যুদ্ধাপরাধ চালিয়ে যেতে যায় বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। এ পটভূমিতে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য-প্রমাণ সংগ্রহ চলছে এবং আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালত ও আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে মামলার জন্য ফাইল তৈরি হচ্ছে বলেও তদন্তকারীরা জানিয়েছেন। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে এক সেনা অভ্যুত্থানে অং সান সু চির নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এ দেশটি মারাত্মক সহিংসতায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। ভিন্নমত দমনের লক্ষ্যে মিয়ানমারের সেনা সরকার এমন সব রক্তাক্ত অভিযান চালিয়েছে যার জেরে দেশের বিভিন্ন অংশে সেনা শাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও সশস্ত্র লড়াই শুরু হয়েছে।

তদন্তকারীদের কখনো মিয়ানমারে ঢুকতে দেওয়া হয়নি : জাতিসংঘ ২০১৮ সালে এই আইআইএমএমের তদন্ত কমিটি গঠন করলেও কখনই মিয়ানমার সফরের জন্য সে দেশের সরকারের অনুমতি পাননি। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, এর পরও তারা ৭০০টি সূত্রের বক্তব্য জোগাড় করেছেন এবং সাক্ষীর বিবৃতি, নথি, ছবি, ভিডিও, ফরেনসিক প্রমাণ এবং স্যাটেলাইট ছবি ইত্যাদি মিলিয়ে ‘২ কোটি ৩০ লাখেরও বেশি তথ্য-প্রমাণ’ সংগ্রহ করেছেন।

সর্বশেষ খবর