শুক্রবার, ১১ আগস্ট, ২০২৩ ০০:০০ টা
সংক্ষিপ্ত

নাইজারে সেনা হস্তক্ষেপ নিয়ে বৈঠকে আফ্রিকার দেশগুলো

আফ্রিকার দেশ নাইজারের পরিস্থিতিতে কীভাবে হস্তক্ষেপ করা হবে তা নিয়ে আলোচনার জন্য পশ্চিম আফ্রিকার দেশগুলোর জোট ইকোওয়াস নাইজেরিয়ার রাজধানী আবুজায় এক জরুরি বৈঠকে বসেছে। নাইজারে ২৬ জুলাই সেনা অভ্যুত্থানের পর ইকোওয়াস সেনা শাসনের অবসান দাবি করে এবং নাইজারের সামরিক জান্তাকে ৬ আগস্ট পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দেয়। সেই সময়সীমা পার হওয়ার পর ইকোওয়াস জোট এখন বৈঠক করছে। বিবিসি জানায়, নাইজারে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে সামরিক কিংবা কূটনৈতিক শক্তি ব্যবহারের প্রশ্নে পশ্চিম আফ্রিকার নেতাদের সামনে সহজ কোনো বিকল্প খোলা নেই। তারা নাইজারে গণতন্ত্র পুন-প্রতিষ্ঠা নিয়ে উদ্বিগ্ন, কারণ আকারে বিশাল কিন্তু দরিদ্র এ দেশটি দীর্ঘদিন ধরে ইসলামপন্থি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। তাদের আরও ভয়ের কারণ জান্তাকে সহায়তা করছে পুতিনের ভাড়াটিয়া সৈন্য বাহিনী ওয়াগনার। এদিকে ওয়াগনারের প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোজিন নিজেদের অভ্যুত্থানকে স্বাগত জানিয়েছেন এবং বলেছেন, তার ভাড়াটে সৈন্যরা সে দেশের শৃঙ্খলা পুনরুদ্ধারে সেনা শাসকদের সাহায্য করতে তৈরি আছে।

নাইজারের ক্ষমতা দখলকারী সামরিক নেতারা এখন পর্যন্ত বাইরের বিশ্বের কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক চাপ প্রত্যাখ্যান করে এসেছেন।

ইকোওয়াস নিজেরের বিরুদ্ধে সামরিক শক্তি ব্যবহারেরও হুমকি দিয়েছে। বিবিসি সংবাদদাতা বলছেন, কয়েক বছর আগে, এ ধরনের হুমকি মোটামুটি সহজবোধ্য বিকল্প হতে পারত। কিন্তু নাইজারের অন্যান্য প্রতিবেশী দেশ, বিশেষ করে মালিতে সামরিক অভ্যুত্থান হয়েছে যাতে সহায়তা করেছে রাশিয়ার ভাড়াটে সৈন্যদল ওয়াগনার গ্রুপ। এদিকে মালির সেনা শাসকরা বলছে, তারা নাইজারের জেনারেলদের পাশে আছেন।

ওদিকে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, নাইজারে সেনা শাসনের পর প্রশ্ন উঠেছে যে, যুক্তরাষ্ট্র তাদের ১,১০০ জন সৈন্যকে সে দেশে আর রাখতে পারবে কি না। সাহেল অঞ্চলে ইসলামপন্থি জঙ্গিদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এ মার্কিনিরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন বলে বিশ্লেষকরা মনে করেন।

নতুন মন্ত্রিসভার নাম ঘোষণা : ওদিকে নিজেদের সামরিক অভ্যুত্থানের নেতারা গতকাল ইকোওয়াস শীর্ষ সম্মেলনের ঠিক আগে এক ঘোষণার মাধ্যমে একটি নতুন সরকার গঠন করছে। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে এক ঘোষণায় সামরিক জান্তার প্রধান জেনারেল আবদুরাহমান ছিয়ানির পক্ষে মন্ত্রিসভার ২১ জন সদস্যের নাম ঘোষণা করা হয়। সামরিক ও বেসামরিক ব্যক্তিদের নিয়ে গঠিত এ অন্তর্র্বর্তীকালীন সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন লামিন জেইন আলি মহামানে। তিনি একই সঙ্গে অর্থমন্ত্রী হিসেবেও কাজ করবেন। নিজের সেনাবাহিনীর সাবেক স্টাফ প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল সালিফু মোদি, যাকে জেনারেল ছিয়ানির ডানহাত বলে মনে করা হয়, তাকে প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর পদ দেওয়া হয়েছে।

সর্বশেষ খবর