শিরোনাম
রবিবার, ১৩ আগস্ট, ২০২৩ ০০:০০ টা

ইউক্রেনের ড্রোন ধ্বংসের দাবি রাশিয়ার

ইউক্রেনের ড্রোন ধ্বংসের দাবি রাশিয়ার

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তাদের বাহিনী ক্রিমিয়া উপদ্বীপে ইউক্রেনের পাঠানো ২০টি ড্রোন ধ্বংস করেছে। গতকাল গভীর রাতের এ হামলা চেষ্টার ঘটনায় কেউ হতাহত বা কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি বলে টেলিগ্রাম অ্যাপে দেওয়া এক বিবৃতিতে মন্ত্রণালয়টি জানিয়েছে। রাশিয়ার বিমান প্রতিরক্ষা সিস্টেম ১৪টি ড্রোন ধ্বংস করেছে এবং ইলেকট্রনিক যুদ্ধকৌশল ব্যবহার করে অন্য ছয়টি ধ্বংস করা হয়েছে, বলেছে তারা। বার্তা সংস্থা রয়টার্স এসব খবর জানালেও মন্ত্রণালয়টির প্রতিবেদনের তথ্য তারা স্বতন্ত্রভাবে যাচাই করতে পারেনি বলে জানিয়েছে। ক্রিমিয়া ইউক্রেনের ড্রোনগুলোর লক্ষ্যস্থল কী ছিল তা তাৎক্ষণিকভাবে পরিষ্কার হয়নি। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিবৃতির আগে রাশিয়ার নিয়োগকৃত ক্রিমিয়ার গভর্নর সের্গেই ক্রিউচকোভ জানিয়েছিলেন, বিমান প্রতিরক্ষা পদ্ধতি উপদ্বীপের বিভিন্ন অংশে আকাশপথে চালানো হামলা প্রতিরোধ করে চলেছে। ক্রিমিয়ার পরিবহন কর্তৃপক্ষ তাদের টেলিগ্রাম অ্যাপের চ্যানেলে বলেছে, রাশিয়ার মূল ভূখন্ডের সঙ্গে ক্রিমিয়া উপদ্বীপকে সংযোগকারী ক্রিমিয়া সেতু স্থানীয় সময় রাত ১টা ৩০ মিনিট থেকে পরবর্তী প্রায় দুই ঘণ্টা বন্ধ ছিল। মে মাসের প্রথমদিকে ক্রেমলিনের আকাশে একটি ড্রোন ধ্বংসের পর থেকে ইউক্রেনে রাশিয়ার নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলগুলোতে ও রাশিয়ার অনেক ভিতরে ড্রোন হামলার পরিমাণ বেড়ে গেছে। ইউক্রেন কখনো এসব হামলার দায় প্রকাশ্যে স্বীকার করে না। কিন্তু তারা বলেছে, রাশিয়ার সামরিক অবকাঠামো ধ্বংস কিয়েভের পাল্টা-আক্রমণের অন্যতম লক্ষ্য। ২০২২-এর ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে প্রতিবেশী ইউক্রেনে পূর্ণমাত্রায় আক্রমণ শুরু করে রাশিয়া।

 প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন এ আক্রমণ শুরু করার নির্দেশ দেন। এর আট বছর আগে ২০১৪ সালে ক্রিমিয়া উপদ্বীপকে মস্কো নিজেদের ভূখন্ডের অংশভুক্ত করে নেয়।

এদিকে, রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে সহায়তার জন্য ইউক্রেনে ২ লাখ ২৩ হাজার ৮০০ আর্টিলারি শেল পাঠিয়েছে ইইউ। ব্লকটির পরিকল্পনা অনুযায়ী, ইউক্রেনে ১০ লাখ আর্টিলারি রাউন্ড সরবরাহ করবে তারা। সেই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে প্রথম ধাপে এসব অস্ত্র পাঠাল ইইউ। চলতি বছরের শুরুর দিকে ২৭ দেশ নিয়ে গঠিত ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ইউক্রেনে আর্টিলারি শেল সরবরাহ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। এ সময় কিয়েভের বাহিনী শেলের অভাবে ভুগছিল। ইইউ’র পরিকল্পনা অনুযায়ী, আগামী ১২ মাসে ১০ লাখ আর্টিলারি রাউন্ড পাঠাবে তারা।

 এজন্য গুনতে হবে ২.১৮ বিলিয়ন ডলার। ইইউ মুখপাত্র পিটার স্ট্যানো বলেন, ‘সদস্য দেশগুলো প্রায় ২ লাখ ২৩ হাজার ৮০০টি আর্টিলারি শেল সরবরাহ করেছে। এ ছাড়া বিভিন্ন ধরনের ২ হাজার ৩০০টি ক্ষেপণাস্ত্র পাঠানো হয়েছে ইউক্রেনে।’

সর্বশেষ খবর